রামদেবের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল কেরলের নিম্ন আদালত। —ফাইল চিত্র।
বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ছড়ানোর মামলায় রামদেবের বিরুদ্ধে জারি করা হল জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে কেরলের এক নিম্ন আদালত। রামদেবের পাশাপাশি সংস্থার অপর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধেও এই জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা করা হয়েছে।
পতঞ্জলির অধীনস্থ দিব্য ফার্মাসির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি সশরীরে কেরলের পালাক্কড় আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রামদেব এবং বালকৃষ্ণের। তাঁরা হাজিরা না দেওয়ার কারণে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বস্তুত, দিব্য ফার্মেসির কিছু বিজ্ঞাপন ঘিরে কেরলের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রুজু হয়েছে। অ্যালোপ্যাথি-সহ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করা এবং রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে অপ্রমাণিত কিছু দাবি করার অভিযোগ রয়েছে সংস্থার বিরুদ্ধে। কেরলের কোড়িকোড়ের আদালতেও এ সংক্রান্ত একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিজ্ঞাপন ঘিরে বিতর্ক এই প্রথম নয়। গত দু’বছর ধরেই এই সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠাতাদের ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত অভিযোগে। চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এই সংস্থার বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানায়। বিজ্ঞাপন-বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও।
সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সেই মামলায় রামদেবকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছিল। সেই হলফনামায় যোগগুরু বলেন, ‘‘বিজ্ঞাপনের বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি আদালতের কাছে। এই ত্রুটির জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আদালতকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, একই ভুলের পুনারাবৃত্তি হবে না। আরও অঙ্গীকার করছি, বিবৃতিতে উল্লিখিত সব কথাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব। অনুরূপ কোনও বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy