পৌষ পূর্ণিমায় শুরু কুম্ভমেলার পুণ্যস্নান শেষ হল আজ, শিবরাত্রিতে। গত কাল রাত থেকেই শিবরাত্রির শাহিস্নান করতে অনেকে ত্রিবেণী সঙ্গমে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিড়ের চোটে তাঁদের অনেকেই ব্রহ্মমুহূর্তের অনেক আগে স্নান সেরে চলে গিয়েছেন।
সরকারি তথ্য বলছে, মঙ্গল ও বুধবারের মাঝের রাতে ২টো নাগাদ স্নান সেরে ফেলেছিলেন অন্তত ১১.৬৬ লক্ষ পুণ্যার্থী। সংখ্যাটা সকাল ৬টায় দাঁড়ায় ৪১.১১ লক্ষে। সকাল ১০টায় সেটা হয় ৮১.০৯ লক্ষ। ভোর ৪টে থেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে কিছু শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে গোরক্ষপুরে বসে নজর রেখেছেন কুম্ভের পরিস্থিতিতে। রাজ্য সরকার পাঁচ দফায় হেলিকপ্টার থেকে ২০ কুইন্টাল পুষ্পবৃষ্টি করছে পুণ্যার্থীদের উপরে।
কুম্ভে ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, তার পরে নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভযাত্রীদের ভিড়ে ফের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার জেরে শেষ শাহিস্নান উপলক্ষে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আজ ছিল তুঙ্গে। শিবরাত্রির শাহিস্নানে আসার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হয়েছে। কুম্ভের পুণ্যার্থীদের ফেরার জন্যও রেল প্রয়াগরাজ থেকে সাড়ে তিনশোটির বেশি অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। রেলরক্ষী বেশি মোতায়েন ছিল ঝাঁসি এবং প্রয়ারগাজ রামবাগ স্টেশনে। মহাকুম্ভে প্রচুর পুলিশ, হোমগার্ড ও জলপুলিশের সঙ্গে নজর ছিল সমাজমাধ্যমেও। এ বার কুম্ভে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানো হয়েছে নজরদারি ক্যামেরায়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)