প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাড়ির বাইরে রাস্তায় খেলছিল বছর দু’য়েকের শিশু। আচমকা সামনে চলে আসে একটি গাড়ি। সেটি এগিয়ে আসছে দেখে শিশুটি সরে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তত ক্ষণে চালক তাকে ধাক্কা মেরে এগিয়ে যান। চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
কানপুরের ১০ বছর ধরে আছে মৃত শিশুর পরিবার। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে যখন সকলে কাজে ব্যস্ত, তখন বাইরে এসে নিজের মনেই খেলছিল শিশুটি। আচমকাই প্রতিবেশীর একটি গাড়ি চলে আসে শিশুটির খুব কাছে। খানিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় সে। তবে গাড়ি কাছে চলে আসায় সরে যেতে চেয়েছিল। যদিও সেই সুযোগ পায়নি। সজোরে শিশুটিকে ধাক্কা মারে চারচাকা। চাকার নীচে চলে যায় শিশুটি। কিন্তু ওই প্রতিবেশী গাড়ি থামাননি। শিশুটির উপর দিয়েই চালিয়ে বেরিয়ে যান। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে রাস্তার সিসি ক্যামেরায়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশুটির চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা এবং পরিবারের লোক। এসে দেখেন রাস্তার মাঝে পড়ে রয়েছে শিশুটি। চারপাশ ভেসে যাচ্ছে রক্তে। শরীরে প্রাণের স্পন্দন নেই। তড়িঘড়ি শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
শিশুটির বাবা রোহিত সিংহ বলেন, ‘‘আমার ছোট্ট মেয়েটাকে পিষে দিয়ে চলে গেল। হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারত গাড়ি থামিয়ে। কিন্তু তা করল না। হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেত মেয়েটা।’’ কথা বলতে বলতে কান্নায় বুজে আসছিল তাঁর গলা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ। তবে পুলিশ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। দোষীর শাস্তির দাবিতে সরব হন সকলে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। চলছে অভিযুক্তের খোঁজ। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তের গতিবিধি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দ্রুত অভিযুক্তকে ধরা হবে। আশ্বাস পাওয়ার পরেই বিক্ষোভ তোলেন স্থানীয়েরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy