বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ উধাও! এক জন-দু’জন নন, উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে গত জুন মাস থেকে এ ভাবেই প্রথমে বেপাত্তা হয়েছেন ৫০ থেকে ৬৫ বছর বয়ঃসীমার অন্তত ৯ জন মহিলা। পরে উদ্ধার হয়েছে তাঁদের দেহ। আর তা ঘিরেই ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে ওই অঞ্চলে। একের পর এক এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। শুরু হয়েছে তদন্তও। কিন্তু এখনও অধরা আততায়ী।
কোনও এক জন নাকি অনেকে মিলে এমনটা ঘটাচ্ছে— ঠাওর করতে পারছে না প্রশাসন। অনেকে আবার ‘সিরিয়াল কিলার’-এর তত্ত্বও তুলে ধরেছেন। তার জেরেই পুলিশের তরফে স্থানীয় মহিলাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, খুব প্রয়োজন না হলে যেন বাড়ির বাইরে কেউ বার না হন। বেরোতে হলেও অনেকে যাতে একসঙ্গে থাকেন। রাস্তায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর সঙ্গে পথচারীদের উপরেও কড়া নজর রাখছে পুলিশ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত কয়েক মাসে যে সমস্ত মহিলা প্রথমে বেপাত্তা হয়ে যান, সেই সবই শাহী, ফতেগঞ্জ পশ্চিম, শেষগড় অঞ্চলের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত প্রত্যেক মহিলাকেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। দেহ মিলেছে খেত থেকে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই মনে হয়নি ছিনতাই কিংবা যৌন হেনস্থা লক্ষ্য ছিল আততায়ীর। আর এখানেই ধন্দে পুলিশ। ঠিক কী কারণে একের পর এক খুন করে চলেছে আততায়ী? উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, একান্ত বাধ্য না হলে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না তাঁরা। খুন হওয়া এক মহিলার কন্যা জানিয়েছেন, তাঁর মা মাঠে গিয়েছিলেন। আর ফেরেননি। পরের দিন সকালে আখের খেত থেকে উদ্ধার হয় ৫৫ বছর বয়সি ওই মহিলার দেহ।
গোটা ঘটনায় আট জলের একটি দল গঠন করেছে পুলিশ। বরেলীর পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অনেকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। ওই রিপোর্ট হাত এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)