Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

হেনস্থার নালিশে পিছিয়েই মেয়েরা

কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন, এমন ৬৯-৭০ শতাংশ মহিলাই এ বিষয়ে যথাযোগ্য স্থানে অভিযোগ করতে চান না। তার মধ্যে অনেকেই আবার আইনের সুবিধা নিয়ে কর্তৃপক্ষকেই ব্ল্যাকমেল করেন। শতবীর মনে করেন, মহিলাদের এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাঁচানোর জন্য অনেক আইন রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫২
Share: Save:

ভয়েই হোক বা ব্যক্তিগত অনিচ্ছা, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৭০ শতাংশ মহিলাই নিজের কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার ঘটনা নিয়ে অভিযোগই জানাতে চান না। শনিবার একটি বিবৃতিতে এমনই তথ্য হাজির করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য-সচিব শতবীর বেদি। জাতীয় মহিলা কমিশনের সঙ্গে মিলে তেলঙ্গানা মহিলা কমিশন এই সংক্রান্ত একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। সেখানেই এই তথ্য পেশ করেন শতবীর।

তাঁর মতে, কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন, এমন ৬৯-৭০ শতাংশ মহিলাই এ বিষয়ে যথাযোগ্য স্থানে অভিযোগ করতে চান না। তার মধ্যে অনেকেই আবার আইনের সুবিধা নিয়ে কর্তৃপক্ষকেই ব্ল্যাকমেল করেন। শতবীর মনে করেন, মহিলাদের এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাঁচানোর জন্য অনেক আইন রয়েছে। তবে সেগুলির ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। তিনি জানান, আইন আইনের জায়গাতে থাকলে তা ব্যবহার নিয়ে এখনও বহু জায়গাতেই ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ভয় কিংবা অন্য ধরনের অভিসন্ধিও কাজ করে। প্রাক্তন বিচারপতি জি ইয়াথিরাজুলুও মনে করেন কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্থা রুখতে এগিয়ে আসতে হবে মহিলাদেরই। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে এই ধরনের সামাজিক বিকৃতির বিরুদ্ধে।

তেলঙ্গানা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন টি বেঙ্কটরত্নম জানান, এই নিয়ে আইন আরও কঠোর করতে আবেদন করবেন তাঁরা। এখনও অনেক ক্ষেত্রেই অনেক কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চান না। সেখানেও বেশ কিছুটা সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন বেঙ্কটরত্নম।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE