উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা হাসপাতালে তাপপ্রবাহে আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। ছবি: পিটিআই।
তাপপ্রবাহে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। অন্য দিকে, বিহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫০ ছুঁয়েছে। তাপপ্রবাহেই মৃত্যু না কি অন্য কারণে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে টানাপড়েন। যদিও দুই রাজ্য সরকারই দাবি করেছে এই মৃত্যুর জন্য ‘হিটস্ট্রোক’ দায়ী নয়। তা হলে?
মৃত্যু নিয়ে যখন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে দুই রাজ্যের সরকারকে, তখন তারা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যু হচ্ছে, এই বিবৃতি দেওয়ায় উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় দুই চিকিৎসককে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে সরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বয়ানের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও বিহার সরকারের একটি অংশ আবার এই মৃত্যুর নেপথ্যে যে হিটস্ট্রোক, তা স্বীকার করে নিয়েছে। তবে তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যু, না কি এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই দুই রাজ্যের প্রশাসন সূত্রে খবর।
বিহারের সীমানা লাগোয়া জেলা উত্তরপ্রদেশের বালিয়া। ১৬-১৮ জুনের মধ্যে এই জেলায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, তাপপ্রবাহের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তিদের। বালিয়া জেলা হাসপাতালে প্রতি দিন শ্বাসকষ্ট, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বালিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এস কে যাদব এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে। মৃত্যুর কারণ জানার পরই শংসাপত্রে তা উল্লেখ করা হবে।”
উত্তরপ্রদেশের আরও একটি জেলা দেওরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় হিটস্ট্রোকে ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হয়েছে। যদিও মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি। অন্য দিকে, বিহারের ভোজপুর জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। রাজ্য প্রশাসনের একাংশ স্বীকার করেছে যে, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আরা সদর হাসপাতালে এক চিকিৎসক ঋষি এনডিটিভি-কে বলেন, “৩৫ জন রোগীকে হিটস্ট্রোকের কারণে ভর্তি করানো হয়েছে। ২০ জুন ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই বয়স্ক। তাঁদের জ্বর এবং হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ ছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy