বাবার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিলেন মাদকাসক্ত পুত্র। এ নিয়ে ঝামেলার জেরে ছেলেকে মেরে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দিলেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ। গুজরাতে আমদাবাদের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত নীলেশ জোশীকে শনিবার বিকেলে রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুর জেলায় এক স্টেশনে অওধ এক্সপ্রেস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর হয়ে নেপাল সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ।জানা গিয়েছে, ছেলে মাদক সেবন করতেন। তা মেনে নিতে পারেননি বাবা। আর এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা হত।

এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) প্রেমবীর সিংহ বলেছেন, ‘‘স্বয়ম জোশী (২১) তাঁর বাবা নীলেশের থেকে টাকা চান। তা দিতে অস্বীকার করেন নীলেশ। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এর পরেই ছেলের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেন ওই বৃদ্ধ। তার জেরে মৃত্যু হয় স্বয়মের।’’

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ছেলের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ জিনিস কাটার যন্ত্র দিয়ে ছয় টুকরো করে কেটে বস্তায় ভরেন নীলেশ। তার পর তা আমদাবাদের বাসনা ও এলিস সেতু এলাকায় ফেলে দেন। গত ২০ জুলাই দেহাংশ ভর্তি বস্তা উদ্ধার ঘিরে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ সূত্রে দাবি, ছেলেকে খুনের পর নেপাল পালানোর ছক কষেছিলেন বৃদ্ধ। তার আগে গোরক্ষনাথ মন্দির দর্শনের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। গত ছয় বছর ধরে বৃদ্ধের স্ত্রী ও কন্যা জার্মানিতে থাকেন। তাই ছেলের সঙ্গে থাকতেন ওই বৃদ্ধ।