প্রতীকী ছবি।
বিদেশি হওয়ার অভিযোগ থেকে ২১ বছর আগেই মুক্তি পেয়েছিলেন আদালতে। বয়স ৮৫। এক পা ভাঙা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ফের নতুন করে তাঁর নামে বিদেশি হওয়ার অভিযোগ আনল পুলিশ! কামরূপ জেলার ত্রিলোচনের করিতল গ্রামের বাসিন্দা ভানুমতী বারুইয়ের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করল সারা অসম বাঙালি পরিষদ। কামরূপ শাখার জেলা সভাপতি সঞ্জয় সরকার জানান, প্রয়াত গোপাল বারুইয়ের স্ত্রী ভানুমতীদেবীর হাতে সব বৈধ নথিপত্র রয়েছে। তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশই ছিল না। শুধুমাত্র হিন্দু বাঙালি হওয়ার জন্যই সীমান্ত পুলিশ অন্যায় ভাবে তাঁর নামে বিদেশি হওয়ার নোটিস পাঠিয়েছে।
ভানুমতীর বাবা মধুসূদন সরকারের নাম রয়েছে ১৯৬৫ ও ১৯৭০ সালের ভোটার তালিকায়। ভানুমতী সব নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তার পরেও এ ভাবে তাঁকে হেনস্থা চলছে কেন? ১৯৯৮ সালে প্রথম বার ভানুমতীর বিরুদ্ধে বিদেশি হওয়ার অভিযোগ আনে পুলিশ। বাবার ভোটার কার্ডের নাম, পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট-সহ অন্যান্য নথিপত্র বিচার করে ২০০১ সালে ভানুমতীকে ভারতীয় বলে রায় দিয়েছিল আদালত। ভানুমতীর ছেলে জানান, ‘‘চমরিয়া থানা থেকে হঠাৎ করেই এক দিন খবর দেয়, মায়ের নামে না কি বিদেশি হওয়া সংক্রান্ত মামলা চলছে। আমরা সে কথা জানতামই না। আমাদের এনআরসি লিগ্যাসি ডেটা রয়েছে। মায়ের ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও রয়েছে।”
সঞ্জয় বলেন, ‘‘বাঙালিরা ভোটের সময়ে নিজেদের নিরাপত্তা ও সম্মানের আশায় বিজেপিকে হাত ঢেলে ভোট দিয়েছে। ভাবা হয়েছিল ডি ভোটার সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু হেনস্থা আরও বেড়েছে। পদবি দেখে বাঙালিদের উপরে অত্যাচার চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy