দ্বিতীয় দিনেও চলছে টিকাদান।
আশা-আশঙ্কার দোলাচল নিয়েই শনিবার শুরু হয়েছে দেশে কোভিড টিকাদানের কর্মসূচি। শনিবারের পর রবিবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে চারশো মানুষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে তাঁদের কারও অবস্থাই গুরুতর নয়। অন্য দিকে দিল্লিতে টিকা নিয়ে এক জন সামান্য গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সন্ধ্যার দিকে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবারও দেশের ৫৫৩টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে মোট ১৭ হাজারেরও প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাকে। এই নিয়ে দেশে টিকার ডোজ পেলেন প্রায় ২ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষ। অন্ধ্রপ্রদেশ, অরূণাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, মণিপুর এবং তামিলনাড়ুতে শনিবার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
তবে দু’দিনে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৪৭ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিার রিপোর্ট সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তার মধ্যে ৫১ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে দিল্লিতে। তবে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী বছর বাইশের এক যুবককে সামান্য গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতার সভায় ডাক নেই দুই অধিকারীকে, যাবেন না তাঁরাও
রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর কোনও রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তার মোকাবিলা কী ভাবে করা হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে যে সব উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে টিকা নেওয়ার জায়গায় সামান্য ফুলে যাওয়া, সামান্য ঘুম ঘুম ভাব অথবা অ্যালার্জির প্রবণতা।
আরও পড়ুন: আইনি মোড় নিল টুইট-যুদ্ধ, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর তথাগতর
কবে সামান্য কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তাঁদের ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মন্ত্রক। ৪৪৭ জনের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যেও আবার দু’জনকে দিল্লির এইমস ও রেলওয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যজন এইমস ঋষিকেশ হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’ ভারতে উৎপাদন করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। ভারতীয় সংস্থা তৈরি করেছে ‘কোভ্যাক্সিন’। এই দুই টিকাকেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy