—প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া থাকলেও তাদের ভোট ৫% বেড়েছিল। তার অন্যতম কারণ হিসাবে অনেকে দাবি করেছিলেন, নাগরিক সংগঠনগুলোর ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগানকে। সেই উদাহরণ সামনে রেখে এ বার একগুচ্ছ নাগরিক সংগঠন ও ছোট ছোট বামপন্থী, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত দিল।
আজ দিল্লিতে ৫০টিরও বেশি নাগরিক সংগঠন ও ১৮টি ছোট ছোট বামপন্থী, সমাজবাদী দল মিলে ‘জিতেগা ইন্ডিয়া’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ১০০ থেকে ১৫০টি আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার জোর দেবে। এই সংগঠনগুলির হয়ে যোগেন্দ্র যাদব বলেন, এই ১০০ থেকে ১৫০টি আসনে বিজেপি অল্প ব্যবধানে জিতছে। ২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার সেবাগ্রাম থেকে এই প্রচার শুরু হবে। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির হয়ে আরএসএস যে সামাজিক প্রচারের কাজ করে, আরএসএসের বিভাজনের নীতির বিরুদ্ধে নাগরিক সংগঠন ও ছোট দলগুলি ইন্ডিয়া-র হয়ে সেই কাজ করবে।
গত বছর ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর আগে রাহুল গান্ধী এই নাগরিক সংগঠনগুলির কাছেই সমর্থন চেয়েছিলেন। আজ এই নাগরিক সংগঠনগুলির মঞ্চে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ, সমাজবাদী পার্টির জাভেদ আলি খান, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সিপিআই (এমএল)-এর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য-সহ জেডিইউ, আরএলডি-র মতো ইন্ডিয়া-র অধিকাংশ শরিক দলের নেতারা হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপিকে হারাতে হলে তার বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া-র বিকল্প ভাবনা আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তার জন্যই বৃহত্তর নাগরিক সমাজকে পাশে দরকার। তৃণমূল কংগ্রেসকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের কেউ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহও আজ ‘বিজেপি অল্প ব্যবধানে অনেক আসনে জিতে যাচ্ছে’ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির ভুয়ো ভোটার, ভোটার তালিকায় কারচুরি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যে বুথে বিজেপি দুর্বল, সেখানেই বিজেপি কারচুপি করার চেষ্টা করবে। লোকসভার ৫৪৩টি আসনেই হয়তো এমনটা হবে না। ২৫০ থেকে ২৭৫টি আসনে কারসাজি হতে পারে। ইভিএম ভোটযন্ত্র ‘হ্যাক’ করা সম্ভব বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা জি দেবরাজন বলেন, মানুষের মনে চারটি ভুল ধারণা ভাঙতে হবে। মোদী দুর্নীতিগ্রস্ত নন, মোদী জমানায় বিদেশে ভারতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, মোদী তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসিদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, অর্থনীতির অবস্থা ভাল হয়েছে— এই সব ধারণা তৈরি করা হলেও তার সবটাই ভুল।
আজকের সম্মেলনে নাগরিক সংগঠনগুলির সিদ্ধান্ত নিয়ে পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ড বলেন, “ইন্ডিয়া নামে বিরোধী জোট তৈরির পরে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করি, এটা শুধু নির্বাচনী জোট নয়, বিজেপি-আরএসএসের মোকাবিলায় মাঠে-ময়দানেও লড়বে।” সিপিআই (এমএল)-এর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, এই নাগরিক সমাজই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তুলেছিল। তার ফলেই বিজেপি পর্যুদস্ত হয়। রাজ্যের বিরুদ্ধে অসন্তোষ সত্ত্বেও তৃণমূলের ভোট বেড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy