ভীমা কোরেগাঁওয়ে জড়ো হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া
তৃতীয় ইঙ্গ-মরাঠা যুদ্ধের দু’শো দুই বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষ্যে প্রায় পাঁচ লক্ষ দলিত জড়ো হয়েছেন পুণের ভীমা কোরেগাঁও অঞ্চলে। দু’বছর আগে এই অনুষ্ঠান ঘিরেই তুমুল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই মহারাষ্ট্র সরকার এ দিন ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে ভীমা কোরেগাঁও অঞ্চলে। গুজব আটকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে ওই অঞ্চলের ইন্টারনেটও।
পুণের জেলাশাসক নওলকিশোর রাম মঙ্গলবারই জানিয়ে দেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়া রুখতে ভীমা কোরেগাঁও অঞ্চলের ইন্টারনেট সাময়িক বন্ধ রাখা হবে। এ দিন সকালেই মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। কোলহাপুরের বিশেষ পুলিশ পরিদর্শক সুভাষ ওয়াদকে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ দলিত জড়ো হয়েছেন ওই অঞ্চলে। বিগত বছরগুলির মতোই এই সংখ্যাটা দশ লক্ষ ছাড়াবে বলে তাঁর অনুমান।
বুধবার সকালেই ভীমা কোরেগাঁও-এর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। যান দলিত নেতা প্রকাশ অম্বেডকর। সারা দিনে আরও বহু হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীর যাওয়ার কথা ওই সৌধের কাছে। দেশ জুড়ে চলতে থাকা সিএএ বিরোধী আন্দোলন ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে এই অনুষ্ঠান থেকে যাতে কোনও গুজব না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতেই এ দিন ওই এলাকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রতি বছরই ১জানুয়ারি তৃতীয় ইঙ্গ-মরাঠা যুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে ভীমা কোরেগাঁওয়ে জয় স্তম্ভে প্রচুর দলিত মানুষ জড়ো হন। ১৮১৮ সালে এই দিনেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পেশোয়াদের পরাজিত করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সাহায্য করেছিল তৎকালীন সমাজে অস্পৃশ্য বলে পরিচিত ‘মাহার’ জনগোষ্ঠী। পেশোয়া পদের বিলুপ্তির দিনটিকে তাঁরা বিজয় দিবস হিসেবে পালন করেন তখন থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy