Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
landslide

Landslide: উত্তরাখণ্ডে ধস, বানের তোড়ে মৃত ৫

সকালে বৃষ্টি থামার পরে উদ্ধারকারীরা প্রথমে হেলিকপ্টারে এলাকা পরিদর্শন করেন। তার পরে রাজ্যের এসডিআরএফ এবং জাতীয় উদ্ধারকারী দল এনডিআরএফ-এর সদস্যেরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কাজে নামেন।

বৃষ্টি-ধসে বিপর্যস্ত পিথোরাগড়ের ধারচুলা। সোমবার।

বৃষ্টি-ধসে বিপর্যস্ত পিথোরাগড়ের ধারচুলা। সোমবার। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
পিথোরাগড় শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২১ ০৭:৩৭
Share: Save:

মেঘপুঞ্জ ভাঙা বৃষ্টি। তা থেকে ভয়াবহ ধস। এ বার উত্তরাখণ্ডের ধারচুলার একটি গ্রামে। তিনটি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে ৩টি শিশু-সহ ৫ জন মারা গিয়েছে। পুলিশ বলছে, আরও অন্তত ৩ জন নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সম্ভবত জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন তিনটি পরিবারের এই স্বজনেরা।

পিথোরাগড়ের জেলাশাসক আশিস চৌহান জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি রাতের দিকে হঠাৎ প্রচণ্ড জলের তোড় নামে, সঙ্গে মাটি গলে বড় বড় পাথরের চাঁই ও গাছপালা। জুম্মা গ্রামে এই বাড়ি তিনটির বাসিন্দারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেগুলি কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে মাটিতে মিশে যায়। এ ছাড়াও যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গ্রামের প্রায় সব বাড়িরই। জেলাশাসক জানিয়েছেন, সকালে উদ্ধারকাজে নেমে প্রথমে তিনটি শিশুর দেহ মেলে। পরে আরও দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে গিরিখাতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কারণ জুম্মা গ্রামটি পাহাড়ের বেশ উপরে।

সকালে বৃষ্টি থামার পরে উদ্ধারকারীরা প্রথমে হেলিকপ্টারে এলাকা পরিদর্শন করেন। তার পরে রাজ্যের এসডিআরএফ এবং জাতীয় উদ্ধারকারী দল এনডিআরএফ-এর সদস্যেরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কাজে নামেন। জেলা প্রশাসন গ্রামে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। গ্রামে জরুরি ভিত্তিতে একটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কপ্টারে নিয়মিত ত্রাণসামগ্রী এবং উদ্ধারের কাজের যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।। দুপুরে তাঁকে ফোন করে উদ্ধার কাজের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। কুমায়ুনের কমিশনার সুসিক কুমারকেও ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন ধামী।

হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে এ বার একের পর এক ধস ও হড়পা বানের ঘটনায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মানুষ যেমন মারা গিয়েছেন, প্রচুর সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একে বিশ্বের উষ্ণায়নের প্রভাব বলে যেমন উল্লেখ করা হচ্ছে, পাশাপাশি অপরিকল্পিত ভাবে যথেচ্ছ পাহাড় কেটে রাস্তা ও পরিকাঠামো নির্মাণকে দায়ী করছেন প্রকৃতিবিদেরা। পিথোরাগড়ের ধারচুলা চিনের সীমান্ত লাগোয়া এলাকা হওয়ায় সেখানে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি চলাচলের উপযোগী সড়ক বানাতে গত কয়েক বছরে পাহাড় ও অরণ্য ধ্বংসের মহোৎসব চলছে সরকারি উদ্যোগে। এ কাজে এই অঞ্চলের সংবেদনশীল পরিবেশের বিষয়টি একেবারেই বিবেচনায় রাখা হচ্ছে না— এমন অভিযোগ উঠেছে। তার ফলেই এই একের পর এক ধসের ঘটনা বলে অনেকে মনে করছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

landslide Uttarakhand
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy