ছবি: পিটিআই।
বেঙ্গালুরু হিংসায় ধৃতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনের সন্ত্রাস-যোগ রয়েছে বলে উঠে এল তদন্তে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অশান্তি-সৃষ্টিকারীদের একটা বড় চক্র বিগত কয়েক বছর যাবৎ সক্রিয়ভাবে নাশকতা চালাচ্ছে শহর জুড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ অগস্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ছড়ায় বেঙ্গালুরুর কে জি হাল্লি এলাকায়। মৃত্যু হয় তিন জনের। আহত ৬০ পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় মোট ৩৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের মধ্যে অনেকেই ‘সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া’ (এসডিপিআই) বা ‘আল হিন্দ’-এর মতো সন্ত্রাসদলের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ধৃত সামিউদ্দিন নামে এক স্বঘোষিত সমাজকর্মীর সঙ্গে ২০১৬-র অক্টোবরে আরএসএস কর্মী রুদ্রেশকে খুনে মূল অভিযুক্তের যোগ রয়েছে। ধৃত মোট ৪০ জনের সঙ্গে এমন অনেক ব্যক্তির যোগ পাওয়া গিয়েছে যারা অতীতে চার্চ স্ট্রিট হামলা বা মল্লেশ্বরম বোমা বিস্ফোরণের মতো সন্ত্রাসের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল। পুলিশ এখনও মুদাসির নামে এক অভিযুক্তকে খুঁজছে যে বেঙ্গালুরু সংঘর্ষের দিন রাতে লোকজনকে থানায় জড়ো হতে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয়।
পুলিশের শীর্ষ কর্তারা জানাচ্ছেন, সন্ত্রাসবাদী দল এসডিপিআই-এর মূল শিকড়ই কে জি হাল্লিতে। গত ১১ অগস্ট যে এলাকাই ছিল হিংসার কেন্দ্রস্থল। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘মূলত মেঙ্গালুরু, মহীশূর ও বেঙ্গালুরুতে সক্রিয় এসডিপিআই। বছর দশের আগে কে জি হাল্লি থেকেই শুরু হয়েছিল এদের যাত্রা।’’ কর্নাটকে বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতায় সে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy