ফাইল চিত্র।
সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যসভা। কৃষি আইন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর ৩ সাংসদ। চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু এ ব্যাপারে ওই ৩ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ, এনডি গুপ্ত এবং সুশীল গুপ্তকে সতর্ক করেন। কিছু ক্ষণ পরে ওই ৩ সাংসদকেই সাসপেন্ড করেন বেঙ্কাইয়া।
বুধবার অধিবেশের শুরুতেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সতর্ক করেছিলেন, অধিবেশন চলাকালীন যেন ফোন ব্যবহার না করা হয়। অনেকেই অধিবেশন চলাকালীন তা মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করছেন বলে জানান তিনি। এর পরই নায়ডু বলেন, “এই ধরনের কাজ সংসদীয় শিষ্টাচার বিরুদ্ধ।”
এ দিন অধিবেশন শুরু হতেই কৃষি আইনের বিষয়টি উত্থাপন করে বিরোধীরা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে ৫ ঘণ্টার আলোচনা দাবি করে ১৬টি বিরোধী দল। সরকার তাতে সম্মতিও দেয়। জানায় ৫ ঘণ্টা নয়, বিষয়টি নিয়ে ১৫ ঘণ্টা আলোচনা করতে রাজি তারা। তাতে রাজি হয় বিরোধী দলগুলিও।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন, “সরকার আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। আমরাও রাজি আছি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে। তিনি আরও বলেন, “যদি ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের আগে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না হয় তা হলে সরকারের কাছে আর্জি জানাব যেন আলোচনার সময় আরও বাড়ানো হয়।”
এর পরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান যখন ঘোষণা করেন যে কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের পর, তখনই তীব্র প্রতিবাদ জানান আপ-এর ওই ৩ সাংসদ। তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। বেঙ্কাইয়া তাঁদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, “আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবেন না। ২৫৫ নম্বর আইন মোতাবেক আপনাদের সাসপেন্ড করতে বাধ্য হব।” কিন্তু তার পরেও সংসদের ভিতরে শোরগোল করায় ওই ৩ আপ সাংসদকে সাসপেন্ড করেন নায়ডু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy