পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ফাইল চিত্র।
এক দিনেই আঠাশ লক্ষ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পাঁচ জন মিলে প্রণামীর খুচরো আর নোট গুনতে পাঁচ ঘণ্টা কাবার হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে আরও সোনা-রুপো।
শুক্রবার ছিল অনল নবমী। এই দিনে দান করলে পূণ্য হয় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। শনিবার শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের (এসজেটিএ) তরফে ওই তিথিতে প্রণামী-প্রাপ্তির অঙ্ক জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, গত দু’বছরে, অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম একসঙ্গে এত টাকা জমা পড়েছে।
১৯৭৫ সালের হুন্ডি আইন অনুযায়ী পুরীর মন্দিরের ভিতরে দানবাক্স রয়েছে। ব্যক্তিগত দান গোপন থাকে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন ফের সারা দেশ থেকে ভক্ত সমাগম হচ্ছে। অনল নবমীতে, শুক্রবার, হুন্ডি থেকে বেরিয়েছে নগদ ২৮ লক্ষ ১০ হাজার ৬৯১ হাজার টাকা, ৫৫০ মিলিগ্রাম সোনা এবং ৬১.৭ গ্রাম রুপো। যেখানে সাধারণ দিনে হুন্ডিতে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা জমা পড়ে।
করোনার ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা স্তিমিত হওয়ায় নীলাচলের দ্বাদশ শতাব্দীর মন্দিরটি ভক্তদের জন্য আবার খোলা হয়েছে। অগস্টের মাঝামাঝি কিছু দিন শুধু স্থানীয়দের প্রবেশাধিকার ছিল। মাসের শেষের দিকে সবার জন্য উন্মুক্ত হয় দরজা। পরে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, সপ্তাহের শেষে জীবাণুমুক্ত করার কাজের জন্য দর্শন বন্ধ থাকবে। বিশেষ কিছু বড় উৎসবের দিনেও ভিড় এড়াতে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy