মায়ের সঙ্গে মনীষা
কেমন লাগবে যদি, নিজের প্রিয়জনের জীবন ঝুঁকির মধ্যে দেখতে হয়? স্বামী মারা যাওয়ার সময় ললিতা শাহের পরিবারের সঙ্গেও ঠিক এমনই কিছু ঘটেছিল।
সেই সময় তাঁর বড় মেয়ে মনীষা গোটা পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। কিন্তু খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই তাঁদের পরিবারকে ফের আরও একটি কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়।
এপ্রিল মাসে, হঠাৎই একদিন মনীষা মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন এবং জ্ঞান হারান। বেশ কিছু পরীক্ষার পর জানা যায় তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে রক্ত জমাট বাঁধছে। ২০০৮ সালে ব্রেন হ্যামারেজের কারণে ললিতার স্বামী মারা যান। এর পরে পরিবারটি বেশ কয়েক বছর ধরে অনেক আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
২২ বছর বয়সী মনীষা তাঁর স্কুলে পড়া শেষ হওয়ার পড়ে পরিবারের দায়িত্ব নেন। তিনি তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের খরচ চালানোর জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছিলেন। এপ্রিল মাসে মনীষা যখন প্রথম মাথা ব্যথা অনুভব করেন, তখন প্রাথমিকভাবে তিনি গুরুত্ব দেননি। বরং সামান্য কিছু ওষুধ খেয়েই কাজ চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্যথা অসহ্য হয়ে ওঠে এবং মনীষাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকেরা এমআরআই, রক্ত পরীক্ষা এবং সিটি স্ক্যান করে মনীষার মস্তিষ্কের রোগ নির্ণয় করেন। চিকিৎসকেরা তাঁর মাকে জানান এই অবস্থা স্থিতিশীল করার জন্য একটি তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। যদিও সম্পূর্ণ সুস্থল হতে আরও একটি নিউরো সার্জারির প্রয়োজন হবে। এর জন্য খরচ অনুমান করা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা।
অস্ত্রোপচারের পরে, মনীষা প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। তাঁর বাকশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাঁর মাথা ফুলে যায়। উপরন্তু, চিকিৎসকেরা দেখেন যে তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছে এবং জল জমছে।
ললিতা জানাচ্ছেন, “অস্ত্রোপচারের পরে আমি মেয়ের এই কষ্ট সহ্য করতে পারছিলাম না। তাঁর অবস্থা প্রতি সেকেন্ডে অবনতি হচ্ছে। সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতেও পারছে না। কোনও মায়ের পক্ষে এভাবে মেয়েকে দেখা খুব কঠিন।”
ইতিমধ্যে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করেছে পরিবার। তাঁদের সমস্ত সঞ্চয় শেষ। এমনকী গহনা বিক্রি করতে হয়েছে। বন্ধু এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছে।
এই ভাবে ঋণে জর্জরিত হওয়ার পরে চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করার কোনও আশা নেই পরিবারের। আপনার সমর্থনই একমাত্র মনীষাকে এই মুহূর্তে সাহায্য করতে পারে। তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘কেটো’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy