একনাথ-শিন্ডে শিবিরের ৪০ জন বিধায়কের মধ্যে ২২ জন শিগগিরই যোগ দেবেন বিজেপিতে। নিজেদের মুখপত্র ‘সামনা’-তে দাবি করল উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন সেনা। নিবন্ধে এও লেখা হয়েছে, একনাথ আসলে বিজেপির ‘সাময়িক ব্যবস্থা’। যে কোনও সময় মু্খ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরতে হতে পারে তাঁকে। মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা আসলে বিজেপির হাতেই, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিল উদ্ধব শিবির।
রোখটোক নামে ওই নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘‘এখন সকলেই বুঝতে পারছেন যে, তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর উর্দি যে কোনও সময় কেড়ে নেওয়া হতে পারে। পূর্ব আন্ধেরির উপনির্বাচনে শিন্ডে শিবিরে পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বিজেপি তা এড়িয়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রের পঞ্চায়েত ভোটের ফল নিয়েও শিন্ডে-শিবিরকে কটাক্ষ করা হয়েছে। নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘‘মহারাষ্ট্রের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিন্ডে শিবির সাফল্যের যে দাবি করেছে, তা মিথ্যা। শিন্ডে শিবিরের ২২ জন বিধায়ক হতাশ। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন।’’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে একক ভাবে সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাডী সব থেকে বেশি আসনে জিতেছে। ৪৫৭টি পঞ্চায়েত আসনে জিতেছে তারা। উদ্ধবের দল জিতেছে ১৫৩টি আসনে। সেখানে একনাথের নেতৃত্বাধীন বালাসাহেবাঞ্চি শিবসেনা ১১৩টি আসনে জিতেছে।
‘সামনা’-র নিবন্ধে এও দাবি করা হয়েছে যে, বিজেপির হাত ধরে ক্ষমতায় এসে একনাথ আসলে নিজের এবং মহারাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন। রাজ্য ওঁকে ক্ষমা করবে না। বিজেপি নিজের স্বার্থেই কেবল একনাথকে ব্যবহার করছে। নিবন্ধে আরও অভিযোগ, ‘‘সরকারের সব সিদ্ধান্ত নেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সেই সিদ্ধান্তই ঘোষণা করেন।’’