তরুণের মা অরুণা ও বাবা লীলাধর। ছবি: সংগৃহীত।
তিন বছর ধরে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। বাবা-মা বলেছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে দিতে। রাগের মাথায় সেই বাবা-মাকেই খুন করে বসলেন ২১ বছরের তরুণ। এক সপ্তাহ ধরে দেহ পচল বাড়িতেই! নতুন বছরের প্রথম দিন মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এক বাড়ি থেকে দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম উৎকর্ষ দাখোল। নাগপুরের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া উৎকর্ষ কামটি রোডের নিউ খাসালা এলাকার বাসিন্দা। গত ২৬ ডিসেম্বর প্রথমে মা-কে শ্বাসরোধ করে খুন করেন ওই তরুণ। তার পর মায়ের দেহের পাশে ঠায় বসে থাকেন দু’ঘণ্টা। বাবা বাড়ি ফিরলে তাঁকেও ছুরির আঘাতে খুন করেন। জোড়া খুনের তদন্তে নেমে বুধবারই উৎকর্ষকে আটক করে পুলিশ। তাঁর কথায় অসঙ্গতি ছিল। শেষমেশ জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেন যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পদার্থবিদ্যার একটি বিষয়ের পরীক্ষায় পর পর তিন বার অকৃতকার্য হয়েছিলেন ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। এ জন্য তাঁকে বকাবকি করেন বাবা-মা। ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে দিয়ে আইটিআই পড়া বা চাষবাষের কাজে মনে দিতে বলেন। এর পরেই রাগের মাথায় বাবা-মাকে খুনের পরিকল্পনা করেন উৎকর্ষ। সুবিধার জন্য দিদিকে আগেই বাড়ি থেকে দূরে এক আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তাঁকে বলা হয়, দিন কয়েকের জন্য বেঙ্গালুরু বেড়াতে যাচ্ছেন তাঁদের বাবা-মা। শুধু তা-ই নয়, খুনের পর নিজে হাতে একটি সুইসাইড নোটও লেখেন উৎকর্ষ। তার পর তার ছবি তুলে বাবার ফোনে রেখে দেন।
বছরের প্রথম দিনেই জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, উৎকর্ষের বাবা লীলাধর কোরাডি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করতেন। মা অরুণা ছিলেন শিক্ষিকা। বুধবার সকালে ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙে পচাগলা দেহ দু’টি উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy