মণিপুরে দুই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে খুনের অভিযোগ। — প্রতীকী চিত্র।
অশান্ত মণিপুরে এ বার দুই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মেইতেই-অধ্যুষিত কাকচিং জেলায়। মৃতেরা দু’জনেই বিহারের বাসিন্দা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মৃত দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে এক জন নাবালকও রয়েছে। মৃতদের নাম সুনালাল কুমার (১৮) এবং দশরথ কুমার (১৭)। কী কারণে তাঁদের গুলি করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে মণিপুর পুলিশ।
মৃতেরা দু’জনেই বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে মণিপুরে গিয়েছিলেন উভয়ে। কাকচিং জেলায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। শনিবার বিকেল ৫টা ২০মিনিটে কাকচিং-ওয়াবাগাই রোডের ধারে কেইরাকে পঞ্চায়েত অফিসের কাছে তাঁদের গুলি করে এক দল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে, ধৃতদের এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। গত বছরের মে মাস থেকেই মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত মণিপুর। এ পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন আরও বহু মানুষ। শনিবারের ঘটনার সঙ্গে মণিপুরে মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষে কোনও প্রভাব রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় সম্প্রতি প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির পাশাপাশি রয়েছে সরকারি সম্পত্তিও। সম্প্রতি নষ্ট হওয়া সম্পত্তির হিসাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবার মণিপুর সরকারের কাছে এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে শীর্ষ আদালত। মণিপুরে বিগত এক বছরে পুড়ে যাওয়া কিংবা দখলকৃত জমি-বাড়ি ও সরকারি সম্পত্তির হিসাব আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যকে মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, ওই সব ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। আগামী ২০ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy