—প্রতীকী চিত্র।
ফের নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া রাজধানীতে। পশ্চিম দিল্লিতে ১২ বছর বয়সি এক বালিকাকে ধর্ষণের পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। তার সারা শরীরে কামড়ের দাগ। ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে এমস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে সে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আজ তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা অন্তর থেকে তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল ও বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুলেছেন।
ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে আজ রাতে দিল্লি পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জয়েন্ট কমিশনার অব পুলিশ শালিনী সিংহ জানিয়েছেন, ধৃতের নাম কৃষ্ণ। ৩৩ বছর বয়সি ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতে খুন-সহ চারটি অপরাধের মামলা রয়েছে। পুলিশের দাবি, লুট করার উদ্দেশ্য নিয়ে সে দিন ওই বালিকার বাড়িতে ঢুকেছিল সে।
ধর্ষিতা বালিকার বাড়ি দিল্লির পশ্চিম বিহারে। মঙ্গলবার বিকেলে তার বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতী। সেই সময়ে বাড়িতে তার বাবা-মা ছিলেন না। ধর্ষণের পরে বালিকাকে খুন করার চেষ্টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় বালিকাকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। তাকে প্রথমে সঞ্জয় গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় এমসে। পুলিশ জানিয়েছে, বালিকার মাথায় ও মুখে আঘাত করা হয়েছে। মালিওয়াল আজ তাকে দেখতে এমসে যান। তিনি জানিয়েছেন, মেয়েটির দেহের সর্বত্র কামড়ের দাগ, তাকে এমন ভাবে আঘাত করা হয়েছে যে প্রতিটি অঙ্গ ক্ষতবিক্ষত। বালিকা আদৌ বেঁচে থাকবে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন চিকিৎসকেরা। কেজরীবাল জানিয়েছেন, ওই বালিকা এখনও অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছে। তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সূত্রের খবর, ধর্ষিতার দেহ থেকে রক্তপাত বন্ধ হচ্ছিল না।
ধর্ষণের ঘটনায় দু’দিন ধরে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করতে পারায় আজ দুপুরে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানান মালিওয়াল। দিল্লির পুলিশ কমিশনার এস এন
শ্রীবাস্তবের সঙ্গে কথা বলেন কেজরীবাল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষিতা বালিকা যাতে বিচার পায়, সে জন্য সেরা আইনজীবীর ব্যবস্থা করা হবে। ধর্ষিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
পুলিশের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা জানিয়েছেন, খুনের চেষ্টার পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পকসো আইনে এফআইআর হয়েছে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। তদন্তের বিষয় নিয়ে আগামী শনিবারের মধ্যে পুলিশের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে দিল্লির মহিলা কমিশন। মালিওয়াল জানিয়েছেন, পুলিশের শীর্ষকর্তাদের ডেকে তদন্তের বিষয় নিয়ে জানতে চাইবে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy