— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে ১০টি হাতির মৃত্যুর পর সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই ফের হাতি-মৃত্যু বান্ধবগড়ে। রবিবার সকালে মৃত্যু হল বান্ধবগড় থেকে উদ্ধার হওয়া তিন মাসের দলছুট একটি হস্তিশাবকের। এই নিয়ে বান্ধবগড়ে হাতি-মৃত্যুর সংখ্যা ১১ ছুঁল।
শুক্রবার বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের পানপাথা ‘বাফার জ়োন’ থেকে ওই হস্তিশাবককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সম্ভবত, কোনও কারণে দলছুট হয়ে পড়েছিল শাবকটি। তাকে উদ্ধার করে রাম এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রবিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে। বান্ধবগড় প্রকল্পের উপপরিচালক প্রকাশকুমার বর্মা জানিয়েছেন, তিন দিন আগে পানপাথায় ওই শাবকটিকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় চিকিৎসা শিবিরেও পাঠানো হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে তার। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কী ভাবে ওই হস্তিশাবকটির মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করে দেখা হবে। ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।
গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কোর খিটৌলি এলাকায় জঙ্গলে চারটি হাতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বন দফতরের কর্মীরা। আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদেরও মৃত্যু হয়। ৩১ অক্টোবর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আরও একটি হাতিকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দলে মোট ১৩টি হাতি ছিল। তার মধ্যে দলের একমাত্র পুরুষ হাতি-সহ ১০টির মৃত্যু হয়েছে। বাকি হাতিগুলির উপর এখনও নজরদারি চালানো হচ্ছে। ওই ঘটনার পরপরই তদন্তের নির্দেশ দেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াত। একসঙ্গে ১০টি হাতির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। দিল্লি থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দলের ১৪ জন পশুচিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। তদন্তে জানা যায়, ছত্রাক সংক্রমিত কোদো বাজরা খেয়ে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। সেই আবহেই এ বার একাদশ হাতির মৃত্যুতে ফের মাথায় হাত বন দফতরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy