টানা ১০ দিন ধরে নানা রকম ভাবে চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনও আশার আলো দেখতে পেলেন না উদ্ধারকারীরা। তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে থাকা আট শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে পৌঁছতে ব্যর্থ তাঁরা। সময় যত গড়াচ্ছে, উদ্বেগ ততই বাড়ছে। তবে সুড়ঙ্গের মধ্যে জমে থাকা জল, কাদার স্তর পেরিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্তা প্রসন্ন কুমার সোমবার জানান, আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য ১২টি সংস্থা দিনরাত কাজ করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রসন্নের কথায়, ‘‘অভিযান পুরোদমে চলছে। কিন্তু হাজার চেষ্টার পরেও এখনও অবধি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞকে পাঠিয়েছে। আমরা সাফল্যের আশায় আছি।’’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তেলঙ্গানার ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকাই ধসে পড়ে। সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটকে পড়েন আট শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের জন্য প্রায় ৫০০ জন উদ্ধারকারী নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। কিন্তু ১০ দিন পরও শ্রমিকদের অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি। এমনকি তাঁদের কোনও সাড়াশব্দও পাওয়া যায়নি। সেই আবহে শনিবার রাজ্যের মন্ত্রী জুপাল্লিকৃষ্ণ রাও দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থান জানা গিয়েছে। কিন্তু কী অবস্থায় তাঁরা রয়েছেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মন্ত্রী। তবে আশা ছাড়ছেন না উদ্ধারকারীরা।
আরও পড়ুন:
রবিবারও সুড়ঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে। তিনি জানান, দ্রুত শ্রমিকদের সুড়ঙ্গের বাইরে বার করে আনার সব রকম চেষ্টা করছে প্রশাসন। তাঁর সরকার সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে রয়েছে।