মায়ের সমর্থনে প্রচারে প্রিয়ঙ্কা। রবিবার রায়বরেলীতে। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা ভোটের হাওয়াকে আরও উত্তপ্ত করে দিয়ে রবার্ট বঢরাকে আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এল বিজেপি। রবার্টের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে রবিবার একটি ভিডিও ও একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভোট প্রচারে কংগ্রেস প্রিয়ঙ্কা রঢরাকে সামনে নিয়ে আসার পরেই গাঁধী পরিবারের জামাইয়ের বিরুদ্ধে বিজেপির আক্রমণ তীব্র হয়ে উঠছে। পাশাপাশি, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর চাপানউতোরও এ দিন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
আট মিনিটের ভিডিও-য় মূল অভিযোগ, গাঁধী পরিবারের মদতেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে রবার্টের ব্যবসা। এটি প্রকাশ করতে গিয়ে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্তব্য,“ রবার্টের ব্যবসায় জমি ও পরিবেশ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।” রাজস্থান এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্য হরিয়ানায় সরকারি মদতে রবার্ট কি ভাবে ব্যবসা বাড়িয়ে গেলেন ভিডিও-য় সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এখানে রবার্ট সম্পর্কে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘‘উনি জামাই রাজা নাকি জমিন রাজা?” বলা হয়েছে, “আইন ভঙ্গ হলেও গাঁধী-বঢরা পরিবারের সব পাপ মাফ।’’ ভিডিও-র সঙ্গে ‘দামাদশ্রী’ নামের ছয় পৃষ্ঠার পুস্তিকা প্রকাশ করে রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্তব্য, ‘‘সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীদের জবাব দিতে হবে কার মদতে আইন ভেঙেও রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবসা বাড়িয়ে গেলেন রবার্ট?” বিজেপির মতে এ সবই হল ‘উন্নয়নের রবাটর্- মডেল’। দিল্লিতে বিজেপির ভিডিও প্রকাশের জবাব রায়বরেলী থেকে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। বলেছেন, “মোদী যা খুশি বলুন, আমি চুপ করে থাকব না।” এ দিকে, আমদাবাদ থেকে রবার্ট প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী মন্তব্য করেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাস করেন না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির প্রশ্নে আইন আইনের পথে চলবে।
গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ভিতরেই প্রিয়ঙ্কা -মোদী তরজা শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ভোটের প্রচারে গিয়ে মোদী মন্তব্য করেছিলেন, ওই রাজ্যে গুজরাতের মতো উন্নয়ন করা ‘নেতাজি’ মুলায়ম সিংহ যাদবের পক্ষে সম্ভব নয়। কেননা, তাঁর মতে, “এ জন্য ছাপ্পান্ন ইঞ্চি বুকের ছাতি প্রয়োজন।” মোদীর কথার জবাব দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। রায়বরেলী থেকে মোদীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য,“ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতি নয়, দেশ চালাতে বড় মনের প্রয়োজন।” রবার্টকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে বিজেপি এই বড় মনের প্রসঙ্গেও প্রিয়ঙ্কাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। রবিশঙ্কর প্রসাদের প্রশ্ন,“ কেউ কেউ বড় মনের কথা তুলেছেন। আমরা জানতে চাই ,এক লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে এত বড় সাম্রাজ্য গড়তে কোন বড় মনের মানুষ রবার্টকে সাহায্য করেছেন?” বিজেপি নেতার অভিযোগ, “প্রিয়ঙ্কা ছাড়া কংগ্রেসের কেউই রবার্ট নিয়ে মুখ খুলছেন না।”
সে যাই হোক না কেন, গাঁধী পরিবারের জামাইকে এ দিন জোরালো আক্রমণ করেছেন উমা ভারতী। আগেই বিজেপি নেত্রী বলেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে গাঁধী পরিবারের জামাইকে জেলে পুরবেন। এক কদম এগিয়ে এ বার উমার মন্তব্য,“ উনি দেশ বা সংবিধানের জামাই নন। অপরাধ করলে জেলে যেতে হবে।” আর এর সঙ্গেই একটি উদাহরণ হাজির করেছেন তিনি। বলেছেন,“মরাঠি রানি অহল্যাবাঈ হোলকর নিজের দুর্নীতিগ্রস্ত জামাইকে হাতির পায়ের নীচে ফেলে দিয়েছিলেন।” বোঝাই যাচ্ছে, ভোটে ঊন্নয়ন বিতর্ককে ছাপিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণই ক্রমশ জায়গা করে নিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy