অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
মিসিং নম্বর কী?
আপনার জন্মতারিখের মধ্যে যে যে সংখ্যা নেই, অবশ্যই ১ থেকে ৯ এর মধ্যে, তাদের বলে মিসিং নম্বর। যে যে নম্বর বা সংখ্যা আপনার জন্মতারিখে থাকবে না, সেই সেই নম্বর থেকে যে তাৎপর্য বোঝায়, আপনাকে এই জীবনে সেই সংক্রান্ত ফল ভোগ করতে হবে। আপনাকে ভীষণ সমস্যায় পড়তে হবে ওই ওই নম্বরের অভাবে। বলা যায়, পূর্ব জীবনে আপনার কর্ম সে ভাবে এই সকল জায়গায় গড়ে ওঠেনি। তার জন্য এই জীবনে আপনাকে তার কর্মফল ভোগ করতে হচ্ছে। মিসিং নম্বর আমাদের জানায়, আমরা যেন ভাবের ঘরে ফাঁকি না দিই। মিসিং নম্বর আমাদের জানিয়ে দেয় গত জীবনের কী কী অসমাপ্ত কর্ম আছে।
এ বার যে যে নম্বর জন্মতারিখে মিসিং হয় তার তাৎপর্য পর পর উল্লেখ করা হচ্ছে-
আরও পড়ুন: বৃদ্ধাঙ্গুলি আপনার সম্বন্ধে কী কী জানান দেয়?
জন্মতারিখে ১ (এক) সংখ্যা মিসিং হলে কী হয়- জাতক/জাতিকার মধ্যে স্বাধীনভাবে চলার ক্ষমতা সে ভাবে থাকবে না। সে পরনির্ভর হবে। কর্মে উদ্যম সে ভাবে থাকবে না, স্বাধীন ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না, কোনও সংস্থার কর্ণধার হতে বাধা পাবে, সাহস কম থাকবে, ভয় পাবে কোনও কিছুতে ঝুঁকি নিতে, অভিভাবক হলে তার কথা ছোটরা শুনবে না, জীবনে সাফল্য ক্ষেত্র বিশেষে একদমই পাবে না, ভুল করে অন্যের ব্যাপারে নাক গলিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে। নাম যশে প্রবল বাধা, চাকরিক্ষেত্রে প্রমোশন হতে চাইবে না, শিক্ষক বা নেতা হলে তার কথার কেউ গুরুত্ব দেবে না। তাই জাতক/জাতিকাকে এই জীবনে ১ এর অভাবের গুণগুলি অর্জন করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
জন্মতারিখে ২(দুই) সংখ্যা মিসিং হলে কী হয়- দুই হচ্ছে সহযোগিতা বা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলার সংখ্যা। সামাজিকতার সংখ্যা, দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলার সংখ্যা। এই ২ সংখ্যার অভাব জন্মতারিখে থাকলে জাতক/জাতিকা নিজেই বুঝতে পারবে বাড়িতে বা সংসারে বা কর্মস্থানে তার সঙ্গে অনেকের বনিবনা হচ্ছে না, দ্বন্দ্ব হচ্ছে বিনা কারণে, অনেকে তাকে এড়িয়ে চলে, সেও সকলের সঙ্গে সে ভাবে মিলেমিশে চলতে কোথায় যেন ব্যর্থ হচ্ছে। অপরকে বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। তার মেলামেশায় অস্বাচ্ছন্দ্য ভাব সব সময় থাকে। সে ভয় পায় মিশতে। স্বামী, স্ত্রীর সম্পর্কে কোথায় যেন একটা ফাঁক থেকে যায়। এদের প্রেম হয় দ্বন্দ্বমূলক, ভাল করতে গেলে খারাপ হয়ে যায়।
জন্মতারিখে ৩ (তিন) সংখ্যা মিসিং হলে কী হয়- জাতক/জাতিকার মধ্যে ৩ সংখ্যা মিসিং হওয়ার জন্যে তার মধ্যে যে সৃষ্টিশীলতা বা সৃজনশীলতা থাকে বা উচ্চতর জ্ঞানলাভের আকাঙ্খা থাকে তা নানাভাবে ব্যাহত হয়ে থাকে। তার মধ্যে যে স্বার্থশূন্যভাব থাকার কথা, সে সেটাকে সে ভাবে উপস্থাপন করতে পারে না, কোখায় যেন বাধা পায়। স্বাস্থ্য ও হৃদয়বোধের চর্চা থেকে সরে আসা বোঝায়। বেশির ভাগ সময়ে নমনীয় হতে বাধা দেয়, কেমন যেন কঠিনভাব অন্তরে সৃষ্টি হয়ে সামাজিক জীবনকে বিনষ্ট করে থাকে।
জন্মতারিখে ৪(চার) সংখ্যা মিসিং হলে কী হয়- ৪ হচ্ছে টেবিলের চার পায়ের মতো। চার মানেই খুব পরিশ্রম করে বাস্তবের ভিত্তিভূমি ভাল করে গড়ে তোলা। চার মানে বাস্তববোধ, লেগে থাকা, ধৈর্য, গঠনমূলক কাজ বা চিন্তা, যোগ্যতমের উদবর্তন। জন্মতারিখে ৪-এর অভাব ঘটলে জাতক/জাতিকার মধ্যে ওই সকল গুণের অভাব ঘটবে। তারা ফাঁকি দিয়ে শর্টকাট অনুসরণ করার চেষ্টা করবে। অধৈর্যশীল হয়ে পড়বে, ভাষা বা অঙ্ক সে ভাবে শিখবে না। লজিক্যাল ব্রেন গড়ে উঠবে না, সমস্যার গভীরে যেতে ব্যর্থ হবে। জীবন সম্বন্ধে ধারণাগুলি খুব পলকা হবে। ফাঁক থেকে যাবে সব কিছুতেই। দক্ষতার অভাব থাকবে। তাই যাদের জন্মতারিখে চার নেই, তারা যেন চারের গুণগুলি এই জীবনে আয়ত্ব করার চেষ্টা চালিয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy