বাড়ি করতে হবে বাস্তুসম্মত ভাবে। ছবি-প্রতীকী
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান মানুষের প্রাথমিক চাহিদা। খাদ্য, বস্ত্রের চাহিদা মেটার পরেই মানুষের চাহিদা নিজের একটি বাড়ি। বাড়ি হল কিন্তু সেখানে যদি সুখ-শান্তি না থাকে, তা হলে আর এক সমস্যা। সুখ-শান্তি, আয়-উন্নতি খুঁজতে গেলে বাড়ি করতে হবে বাস্তুসম্মত ভাবে। বাস্তুসম্মত বাড়ি বলতে কী বোঝায়? বাস্তু মতে, দশ দিক আছে। এই দশ দিকের সমতা রক্ষা করে প্রত্যেক দিকের কর্মশক্তিকে ঠিক ভাবে কাজে লাগানই হল বাস্তুসম্মত।
বাস্তুসম্মত বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত?
বাড়ির আকার বর্গাকার বা আয়াতকার হওয়া উচিত। বাড়ির প্রতিটি ঘরের বর্গাকার বা আয়াতকার হওয়া উচিত।
প্রসার বা সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা থাকলে তা উত্তর-পূর্ব দিকে শুভ।
বাড়ির মধ্যস্থান উন্মুক্ত বা ফাঁকা রাখতে পারলে শুভ। বাড়ির মধ্যস্থান উন্মুক্ত বা ফাঁকা না হলেও মধ্যস্থানে কোনও ভারী নির্মাণ খুবই অশুভ।
কোন দিক কী ভাবে কাজে লাগালে বাস্তুবাসির ক্ষেত্রে শুভ?
প্রধান দরজা উত্তর অথবা পূর্বে শুভ, প্রধান দরজার সহিত ছোট বারান্দা শুভ।
উত্তর অথবা উত্তর-পূর্বে বসার ঘর।
ধ্যান বা পূজার ঘর উত্তর-পূর্বে।
পশ্চিমে খাওয়ার ঘর।
দক্ষিণ-পূর্বে রান্নাঘর।
অফিস এবং পড়াশোনার ঘর উত্তরে।
প্রধান শয়নকক্ষ দক্ষিণ-পশ্চিমে।
গৃহস্বামীর শয়নকক্ষ দক্ষিণে।
শিশু বা সন্তানদের ঘর পশ্চিমে।
শৌচালয় উত্তর-পশ্চিমে।
স্টোর রুম (ভারী বস্তুর) দক্ষিণ-পশ্চিমে।
সিঁড়ি পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy