মাটির ভাঁড় বহু মানুষের অসময়ের সম্বল। এই ভাঁড় মা লক্ষ্মীর ভাঁড় নামেও পরিচিত। অনলাইনে টাকা লেনদেনের যুগে এর ব্যবহার প্রায় কমেই গিয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক বাড়ির ঠাকুরমা-দিদিমারা এই ভাঁড়ে টাকা জমিয়ে রাখেন। হাতে খুচরো টাকা সেই টাকা লক্ষ্মীর ভাঁড়ে ফেলে দেন। খুবই সাদামাঠা দেখতে হয় এই লাল রঙের গোলাকৃতি ভাঁড়। এর উপরের দিকে একটা ফাঁক থাকে, যা দিয়ে টাকা রাখা যায়। আজকাল গোল ছাড়াও নানা আকৃতির ভাঁড় পাওয়া যায়। অনেক বাড়ির ঠাকুরঘরেও একটা লক্ষ্মীর ভাঁড় রাখা থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই ভাঁড় ব্যবহার করার বিশেষ কিছু টোটকা রয়েছে। সেই টোটকাগুলো মেনে চলতে পারলে লাভ হবে।
আরও পড়ুন:
টোটকা:
১) মাটির ভাঁড়ের মধ্যে একটা নীল পদ্মফুলের ছবি আর একটা হাস্যমুখ কুবের দেবতার ছবি ছোট ভাঁজ করে ভরে দিন। তার পর ভাঁড়টা বাড়ির ঈশান কোণে বা উত্তর-পশ্চিম কোণে রেখে দিন। এর পর তাতে আপনার ইচ্ছামতো টাকাপয়সা জমাতে পারেন। ভাঁড়টা থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কখনও টাকা বার করে নেওয়া যাবে না।
২) বর্তমান সময়ে বাজারে প্রচুর প্লাস্টিকের ভাঁড় পাওয়া যায়, তবে প্লাস্টিকের ভাঁড়ে এই টোটকা করা যাবে না।
৩) পুজো করার সময় এই ভাঁড়ে প্রত্যেক দিন ধূপ-ধুনো দেখাতে হবে ।
আরও পড়ুন:
এর ফলাফল:
এই টোটকা নিষ্ঠা সহযোগে পালন করলে বাড়িতে ধনসম্পদ বৃদ্ধি হবে। টাকা উপার্জনের পরিমাণে দ্বিগুণ হবে। এ ছাড়া সঞ্চয়ও হবে খুব ভাল।