সংখ্যাতত্ত্বের বিচার সারা পৃথিবীতে প্রচলিত এবং গ্রহণযোগ্যও। সংখ্যাতত্ত্বের সাহায্যে খুব সহজ পদ্ধতিতেই কোনও কিছু বিচার করা সম্ভব। সেই সকল বিচার ফলপ্রসু হওয়ার কারণেই দিন দিন তার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংখ্যাতত্ত্ব খুবই প্রাচীন। এটি জ্যোতিষশাস্ত্রের অংশ। ভারত-সহ বিশ্বের বহু দেশে বহুকাল ধরে সংখ্যাতত্ত্ব চর্চার নিদর্শন মেলে। সেটির হিসাবে গ্রেগরিয়ান বা খ্রিস্টীয় দিনপঞ্জিকার হিসোব করা হয়।
বাংলা বছর সাধারণত ১৪ বা ১৫ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৩ বা ১৪ এপ্রিল শেষ হয়। সেই হিসাবে প্রত্যেক বাংলা বছরে দুইটি খ্রিস্টীয় বছরের অংশ মিলে তৈরি হয়।
বাংলা বছর ১৪৩২, ২০২৫ এবং ২০২৬, এই দু’টি খ্রিস্টীয় বছর মিলে তৈরি হচ্ছে। এর ফলে দু’টি বছরের প্রভাবই এই বছরের উপর থাকবে। এর কারণে দু’টি গ্রহ ১৪৩২-এর উপর বিশেষ প্রভাব দান করবে। ১৪৩২-এ প্রভাবদাতা দুই গ্রহই অগ্নিকারক গ্রহ। বৈশাখ থেকে ১৫ পৌষ পর্যন্ত মঙ্গলের প্রভাব থাকবে এবং ১৬ পৌষ থেকে বাংলা বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রবির প্রভাব থাকবে। প্রসঙ্গত গোটা ২০২৬–এই রবির প্রভাব থাকবে।
১৪৩২ সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী মঙ্গল এবং রবির প্রভাবের বছর। ১৪৩২ কেমন যাবে বা কোন বিষয়ে প্রভাব পড়বে জানতে মঙ্গল এবং রবি গ্রহের সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
মঙ্গল এবং রবি অগ্নিকারক গ্রহ। উগ্রতা, দ্রুততা, হঠকারী বা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অস্ত্র সংক্রান্ত ঘটনা, দুর্ঘটনা, রক্তপাত, ক্রোধ, সরকার এবং সরকারি দফতর, হৃদ্যন্ত্র ইত্যাদির উপর মঙ্গল এবং রবির প্রভাব রয়েছে।
গ্রহ যেমন নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর প্রভাব দান করে, তেমনই রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক ঘটনা, অর্থনৈতিক বিষয়, রাজনীতি ইত্যাদির উপর প্রভাব ফেলে। মঙ্গল এবং রবির প্রভাবের কারণে ভারতের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন:
মঙ্গল এবং রবির প্রভাবের কারণে আগামী বছর স্বাভাবিকের তুলনায় গরম বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে অশান্তি বৃদ্ধি পেতে পারে, রাজনৈতিক মতবিরোধের আশঙ্কা আছে। অহং এবং জেদ বৃদ্ধির কারণে দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক মতবিরোধ চূড়ান্ত আকার ধারণ করতে পারে। অন্য দেশের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব দিকে বেশি সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে। জঙ্গিহানার আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, বজ্রপাত, অগ্নিকাণ্ড (বিশেষত বিদ্যুতের কারণে) বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
অপ্রত্যাশিত হঠকারী প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা দ্রুত বলবৎ হতে পারে। রাষ্ট্রীয় সুসিদ্ধান্তের কারণে দেশের গৌরব বৃদ্ধি পেতে পারে। খেলাধুলায় দেশের গৌরব বৃদ্ধি পেতে পারে। স্থাবর সম্পত্তির মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ওষুধ এবং রাসায়নিক শিল্পের নতুন আবিষ্কার বা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যেতে পারে।