যার ক্ষয় নেই তা অক্ষয়, অর্থাৎ চিরস্থায়ী। হিন্দুমতে বিশ্বাস করা হয় যে, অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে কোনও শুভ কাজ করলে তার শুভ ফল দীর্ঘস্থায়ী হয় বা দীর্ঘকাল ধরে প্রাপ্ত হয়। বাংলা বছরের বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথি শুভ অক্ষয় তৃতীয়া তিথি হিসাবে পালন করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে ধনদেবতা কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দেবাদিদেব মহাদেব অতুল ধনসম্পত্তি দান করেন। হিন্দুমতে বিশ্বাস করা হয়, এই অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতেই মহাভারত রচনা করা শুরু হয়েছিল। শুভ অক্ষয় তৃতীয়া তিথি হল পুরীধামের জগন্নাথদেবের রথযাত্রার রথনির্মাণ শুরুর তিথি। অক্ষয় তৃতীয়া তিথি গণেশের জন্মতিথি হিসাবে মানা হয়। এই দিনে গণেশের পুজো করা হলে বিশেষ শুভ ফল পাওয়া যায়। এই তিথিতে গণেশের পুজো করে যে কোনও শুভ কাজ শুরু করলে শুভ ফল প্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন:
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে—
তৃতীয়া তিথি আরম্ভ—
১৫ বৈশাখ, ২৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার।
সময়: বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিট।
তৃতীয়া তিথি শেষ—
১৬ বৈশাখ, ৩০ এপ্রিল, বুধবার।
সময়: সকাল ২টো ১৩ মিনিট।
অক্ষয় তৃতীয়া ব্রত। অক্ষয় তৃতীয়ার স্নান দানাদিতে অক্ষয় পুণ্য লাভ।
আরও পড়ুন:
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে—
তৃতীয়া তিথি আরম্ভ—
১৫ বৈশাখ, ২৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার।
সময়: রাত ৯টা ৪ মিনিট ৩১ সেকেন্ড।
তৃতীয়া তিথি শেষ—
১৬ বৈশাখ, ৩০ এপ্রিল, বুধবার।
সময়: সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড।