—প্রতীকী ছবি।
নবরাত্রি শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল নয় রাত্রি। অমাবস্যার পরবর্তী তিথি প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এই নয় তিথিকে একসঙ্গে নবরাত্রি বলা হয়। নবরাত্রি জুড়ে দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় নয়টি বিশেষ রূপে। প্রত্যেক তিথিতে, অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এক এক তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন এক এক রূপে।
শৈলপুত্রী: প্রতিপদ তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘শৈলপুত্রী’ রূপে। দেবী শৈলপুত্রী হিমালয়ের কন্যা। দেবী সতীর পুনর্জন্মের রূপ হিসাবে ধরা হয় মা দুর্গার এই রূপকে। এই দেবীর ডান হাতে ত্রিশূল এবং বাঁ হাতে পদ্ম, মস্তকে অর্ধ চন্দ্র থাকে। দেবী শৈলপুত্রী নন্দীর (ষাঁড়) উপর উপবিষ্ট।
ব্রহ্মচারিণী: দ্বিতীয়া তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘ব্রহ্মচারিণী’ রূপে। এই দেবীকে যোগিনী, সিদ্ধি, মুক্তি, মোক্ষ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির দেবী বলে মানা হয়। হাতে কমণ্ডল এবং জপ মালা থাকে।
চন্দ্রঘণ্টা: তৃতীয়া তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘চন্দ্রঘণ্টা’ রূপে। এই দেবী সৌন্দর্য এবং সাহসের প্রতীক।
কুষমুণ্ডা: চতুর্থী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কুষমুণ্ডা’ রূপে। এই দেবী অষ্টভুজা এবং অষ্ট সিদ্ধিদাত্রী। দেবী কুষমুণ্ডা সিংহের উপর উপবিষ্ট।
স্কন্দমাতা: পঞ্চমী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘স্কন্দমাতা’ রূপে। দেবী কার্তিকের জননী। দেবী স্কন্দমাতা চতুর্ভুজা এবং সিংহের উপর উপবিষ্ট।
কাত্যায়নী: ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কাত্যায়নী’ রূপে। এই রূপেই দেবী মহিষাসুর বধ করেন।
কালরাত্রি: সপ্তমী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কালরাত্রি’ রূপে। এই রূপ দেবীর হিংস্র, ভয়ঙ্কর রূপ। অসুর শম্ভু এবং নিশম্ভুকে দেবী এই রূপে হত্যা করেন।
মহাগৌরী: অষ্টমী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘মহাগৌরী’ রূপে। এই দেবীকে শান্তি এবং বুদ্ধিমত্তার প্রতীক হিসাবে মানা হয়।
সিদ্ধিদাত্রী: নবমী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে। এটি নবদুর্গার শেষ রূপ। সিংহবাহিনী দেবী সিদ্ধিদাত্রী হলেন চতুর্ভুজা। দেবী হলেন সিদ্ধি, সফলতাদাত্রী এবং পরিপূর্ণতা দাত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy