শ্রবণার অপর নাম পিপুল গাছ। পিপুল গাছের এক বিশেষ গুরুত্ব বা মাহাত্ম আছে। ভগবান বুদ্ধ এই গাছে তলায় বসে সিদ্ধি লাভ করেন। শ্রবণা নক্ষত্রের প্রতীক হল কান। শ্রবণা কথাটির মানে হল শ্রবণ করা, পৌরাণিক মুনি ঋষিরা শ্রুতির মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জন করতেন। কান অর্থাৎ শোনা ও বোঝা ।
দেহের গঠন
শ্রবণা নক্ষত্রে যাদের জন্ম হয় তারা দৈহিক গঠনে লম্বা হয়, একটু রোগা হয়, মুখের আকৃতি বেশ বড়, নাক টিকালো হয়, মাথার চুল বেশ লম্বা হয়। এদের দেহের গঠন খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়, মুখমণ্ডলে বিশেষ আলাদা কিছু লক্ষ্য করা যায়।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
এই নক্ষত্রের মানুষরা বেশ শান্তিপ্রিয়, মিষ্টভাষী হয়, সব কিছুতে সমতা বজায় রাখতে পারে। এরা খুব পরিস্কার থাকতে ভালবাসে। এদের একটি মহৎ গুন হল যে কাজ এরা শুরু করে সেটা শেষ করে ছাড়ে। বাবা মায়ের প্রতি এদের অগাধ ভালবাসা থাকে। ধার্মিকতা এদের আরেকটি বিশেষ গুন। এরা খুব জ্ঞানী ও প্রতিভা সম্পন্ন হয়ে থাকে। অতিথি সেবায় পটু হয়, মানুষের বিপদে পাশে দাড়াতে চেষ্টা করে। কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি পছন্দ করে না এবং এরা কখনই অসৎ হয় না।
পেশা
শিক্ষক, অধ্যাপক, গায়ক, অভিনেতা, অনুবাদক, টেলিফোন অপারেটর, টেলিভিশন সংক্রান্ত যে কোনও কাজ, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, চিকিৎসক, ভ্রমন সংক্রান্ত ব্যবসা ইত্যাদি নানা পেশা নির্দেশ করে। তাছাড়া এরা নৃত্য ও সঙ্গীতে খুব সুনাম অর্জন করে থাকে।
এদের গন—দেবগণ, গুন – রাজসিক গুনসম্পন্ন, শুভ দিক – দক্ষিন ও উত্তরপশ্চিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy