আমরা সবাই সমান মাপের আত্মা ধারণ করি না। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা জন্মান্তরের দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের আত্মা পেয়েছেন। যাঁরা যত বেশি জন্মান্তর পেরিয়ে এসেছেন,তাঁরা তত বেশি পরিণত আত্মার অধিকারী।
আত্মার বয়সের দিক থেকে কারও হয়তো শিশু আত্মা (বেবি সোল), কারও যুবক আত্মা (ইয়ং সোল), কেউ আবার বৃদ্ধ আত্মা (ওল্ড সোল)-এর অধিকারী। আমরা এখানে পরিণত আত্মা নিয়ে আলোচনা করবো। প্রশ্ন হচ্ছে, কারা পরিণত আত্মার অধিকারী? নীচের বিভিন্ন লক্ষণগুলি বলে দেবে, আপনি পরিণত আত্মার অধিকারী কিনা। পরিণতির দিক থেকে প্রথমে নবজাতক আত্মা বা ইনফ্যান্ট সোল এজ->তারপর শিশু আত্মা বা বেবি সোল এজ-> যুবক আত্মা বা ইয়ং সোল এজ->এর পর পরিণত আত্মা বা ম্যাচিয়োর সোল এজ-> তারপর বৃদ্ধ আত্মা বা ওল্ডসোল এজ।
এ বার আমরা জানব পরিণত আত্মার বৈশিষ্ট্য এবং কী ভাবে এঁকে শনাক্ত করা যায়:
(১) চোখের পরিণতি বিভিন্ন সোল এজে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। শুধুমাত্র চোখ দেখে আত্মার বয়স বোঝা যায়। বিভিন্ন সোল এজে বিভিন্ন ভাবে মানুষের আই কন্ট্যাক্ট হয়ে থাকে। অপরিণত আত্মা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না। এদের ভিতর ভয় বোধ কাজ করে। পরিণত আত্মা সে দিক থেকে ভাল রকম ভাবে চোখ দিয়ে সব কিছু উপভোগ করে। বৃদ্ধ আত্মাদের চোখের পলক পড়ে না।
(২) সহানুভূতির দিক থেকে অপরিণত আত্মা, যেমন ইয়ং সোল বা বেবি সোল এজের ভিতর সে ভাবে অন্যের প্রতি সহানুভূতি দেখা যায় না। কিন্তু পরিণত আত্মার মানুষ ভীষণ ভাবে সহানুভূতি প্রবণ হৃদয়ের হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কন্যা রাশি ও লগ্নের ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন কেমন হয়
(৩) অপরিণত আত্মার মানুষ, যেমন, বেবি সোল বা ইয়ং সোল খুব বেশি হিংসাপ্রবণ। কিন্তু পরিণত আত্মার মানুষ সহানুভূতিপ্রবণ হওয়ায় একদম হিংসার পক্ষপাতী নয়।
(৪) কে কী ভাবে ভয় পায়, তার উপর নির্ভর করে আত্মা কতটা পরিণত হয়েছে তা বিচার করা হয়ে থাকে। যেমন, ইনফ্যান্ট সোল যতক্ষণ নিরাপদ বা সুরক্ষিত অবস্থা না পায়, ততক্ষণ তার ভয় যেতে চায় না। এরা সব সময় একটা রক্ষাকবচ চায়। বেবি সোল নানা রকম অভিশাপের ভয়ে ভীত। ইয়ং সোল এজ ধরা পড়ার ভয়ে ভীত, সেটা অপরাধ বা অন্য কিছু হতে পারে। কিন্তু ম্যাচিয়োর সোল শুধুমাত্র মানুষের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির ভয়ে ভীত থাকে। এরা অন্যায়, অবিচার ও অসুন্দরের ভয়ে সব সময় ভীত থাকে।
(৫) আত্মার জন্মান্তরের পরিণতির উপর এদের ব্যবহারের ধরনটাও বদলে যায়। পরিণত আত্মার মানুষ অনেককে নিয়ে থাকতে ভালবাসে। এদের মধ্যে আমিত্ব কম থাকে। এরা সব সময় অন্যকে সুখী করতে চায়। এরা অন্যের প্রতি কোনও ভুল করলে তার জন্য খুব অনুশোচনা বোধ করে। যদিও এরা আধ্যাত্মিক ভাবে যে বোধে বিশ্বাস করে, অনেক সময় তাদের ব্যবহারে তার অভাব দেখা যায়।
(৬) ব্যক্তি আত্মার পরিণতি অনুযায়ী তার মূল্যবোধের ধরনও আলাদা হয়ে থাকে। যারা ম্যাচিয়োর সোল, তারা সব ধরনের সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তা ছাড়া আত্মার সম্পর্ক,খাদ্য, নানা ধরনের কর্ম, স্পিরিট ও স্পিরিট ওয়ার্ল্ড, ইত্যাদিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এরা সব ধরনের যোগাযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এরা উন্নতি, সাহায্য, সেবাকে বিশেষ মূল্য দিয়ে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy