গৃহের অভিলাষ মানুষের চিরকালীন। আগেকার দিনে সাধারণত নিজের ব্যক্তিগত পৃথক বাড়ি বা বাংলো বাড়ি করার ঝোঁক ছিল বেশি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। এখন আড়াআড়ি বাড়ির চেয়ে উঁচু খাড়া বাড়ি বেশি পছন্দের কারণ। আড়াআড়ি বাড়ি তৈরি অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। জমিতেও টান পড়েছে। এই সঙ্গে লিফটের সুযোগ-সুবিধা মানুষকে বহুতল বাড়ির প্রতি আর্কষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া দূষণের বিষয়টিও আছে। যত উঁচুতে মানুষ থাকবে দূষণ তাকে স্পর্শ করবে তত কম। এটাও বহুতল বাড়ির আর এক আর্কষণ।
বহুতল বিশিষ্ঠ ফ্ল্যাটবাড়ি নির্মাণে বাস্তুশাস্ত্রের সিদ্ধান্ত কী ভাবে পালন করা সম্ভবঃ---
১। ফ্ল্যাটের পূর্ব দিকে স্নানাগার বা বাথরুম তৈরি করা উচিত। উত্তর-পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে কখনওই শৌচাগার করা উচিত নয়।
২। বাথরুম বা শৌচাগার কখনওই যেন রান্নাঘর বা খাওয়ার জায়গার বিপরীত দিকে না হয়। বাথরুম বা শৌচাগার থেকে খাওয়ার জায়গা যেন সরাসরি দেখা না যায়।
৩। শৌচাগার বা বাথরুম, রান্নাঘর ও পূজার ঘর যেন এক দেওয়াল সংলগ্ন না হয় এবং মুখোমুখিও যেন না হয়।
৪। টয়লেটে কমোড এমনভাবে বসাতে হবে যাতে কমোড ব্যবহারকারীর মুখ দক্ষিণ দিকে হয়। দক্ষিণ সম্ভব না হলে উত্তর করা যেতে পারে কিন্তু পূর্ব বা পশ্চিমে যেন কিছুতেই না হয়।
বিঃ দ্রঃ- বাস্তুশাস্ত্রের কোন জাত নেই। বাস্তু হল স্থাপত্যের কলা ও বিঞ্জান। বাস্তু যে মানবে ফল তারই, কারণ বাস্তু উপদেস্টা বিশ্বর্কমা বলেছেন,এ শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্যই সৃস্টি হয়েছে। অনুরুপভাবে সকল পাঠকগনের স্বামী বিবেকবন্দের এই বানী স্বরণ রাখা উচিত-(এই যুগে কর্মযোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা উচিত।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy