গত প্রায় তিন পক্ষকাল ধরে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ মহাকুম্ভ চলছে। গত ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে ২০২৫-এর মহাকুম্ভের শুরু হয় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি, অর্থাৎ শিব চতুর্দশী তিথিতে পুণ্যস্নানের মধ্যে দিয়ে মহাকুম্ভ ২০২৫ সমাপ্ত হবে।
সমুদ্রমন্থনে প্রাপ্ত অমৃত দেবতাদের কাছে রাখার দায়িত্ব পড়ে দেবরাজ ইন্দ্রের পুত্র জয়ন্তের উপর। সেই কাজ সম্পন্ন করার সময় চার স্থানে কয়েক ফোঁটা অমৃত পড়ে। সেই চার স্থানের নাম হল প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী। এই চার স্থানেই পালিত হয় মহাকুম্ভের স্নানযাত্রা। কুম্ভের সময় গ্রহ-নক্ষত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেবগুরু বৃহস্পতি, সূর্যদেব এবং চন্দ্রদেব প্রাপ্ত অমৃত দেবতাদের আয়ত্তে রাখার কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এই কারণেই বৃহস্পতি, রবি (সূর্য) এবং চন্দ্রের বিশেষ অবস্থানে কুম্ভের সময় নির্ধারিত হয়। কুম্ভ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও, কুম্ভস্নানের জন্য বিশেষ কিছু দিন বা তিথি এবং সময় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেই নির্দিষ্ট দিনগুলিতে, নির্দিষ্ট সময়ে স্নান করলে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।
পরবর্তী এবং শেষ গুরুত্বপূর্ণ কুম্ভস্নানের দিন হল ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে-
২৬ ফেব্রুয়ারি,১৪ ফাল্গুন, বুধবার।
চতুর্দশী তিথি শুরু সকাল ১১টা ১০ মিনিট।
অমৃতযোগ- সকাল ৭ টা ৩৭ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় বেলা ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে ১১টা ২৮ মিনিট। পুনরায় বেলা ৩টে ১৬ মিনিট থেকে ৪টে ৪৭ মিনিট। পুনরায় রাত ৬টা ২৪ মিনিট থেকে ৮টা ৫৪ মিনিট এবং রাত ১টা ৫৬ মিনিট থেকে সূর্যোদয় অবধি।
মাহেন্দ্রযোগ– সকাল ১টা ৪৫ মিনিট থেকে ৩টে ১৫ মিনিট, রাত ৮টা ৫৫ মিনিট থেকে ১০টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে-
২৬ ফেব্রুয়ারি,১৩ ফাল্গুন, বুধবার।
চতুর্দশী তিথি আরম্ভ সকাল ৯টা ৪১ মিনিট ৮ সেকেন্ড।
অমৃতযোগ- সকাল ৭টা ৩৭ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের মধ্যে। পুনরায় বেলা ৯টা ৫৪ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড থেকে ১১টা ২৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত। পুনরায় বেলা ৩টে ১৫ মিনিট ২৯ সেকেন্ড থেকে ৪টে ৪৭ মিনিট ৪ সেকেন্ড পর্যন্ত। পুনরায় রাত ৬টা ২৩ মিনিট ৪ সেকেন্ড থেকে ৮টা ৫৩ মিনিট ৪১ সেকেন্ড পর্যন্ত এবং রাত ১টা ৫৪ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড থেকে সূর্যোদয় অবধি।
মাহেন্দ্রযোগ– সকাল ১টা ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড থেকে ৩টে ১৫ মিনিট ২৯ সেকেন্ড এবং রাত ৮টা ৫৩ মিনিট ৪১ সেকেন্ড থেকে ১০টা ৩৪ মিনিট ৬ সেকেন্ড পর্যন্ত।