চুণীর স্পেকট্রাম কালার হল লাল বা বেগুনি— এটা আমরা আগেই জেনেছি। আর চুণী থেকে যে লাল বা বেগুনি আলো বিচ্ছুরিত হয় সেটা উষ্ণ বা গরম। আমরা যখন শরীরে চুণী ধারণ করি, সেটা কখন করি এবং কেন করি, এ বার নীচে পর পর তার কারণগুলো উল্লেখ করে যাচ্ছি
(১) জ্যোতিষ মতে, রবি নীচস্থ থাকলে আর শত্রু ঘরে অবস্থান করলে বা শত্রু গ্রহদ্বারা আক্রান্ত হলে যাদের কার্তিক মাসে জন্ম বা যাদের লগ্নের সপ্তমে রবি বা শনির ঘরে বা শনির নক্ষত্রে রবি অবস্থান করলে চুণী ধারণ করা উচিত।
(২) ক্ষেত্র বিশেষে লগ্নের ষষ্ট, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘরে রবি অবস্থান করলে চুণী ধারণ করা যেতে পারে।
(৩) জেম থেরাপিষ্টের মতে, যাদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে, তারা চুণী ধারণ করে কমাতে পারেন।
(৪) যাঁরা অত্যন্ত যৌনকাতর বা যারা নারীকে সেক্স সিম্বল ছাড়া ভাবতেই পারেন না, তাঁরা চুণী ধারণ করে চেতনাকে উপরে দিকে টেনে তুলতে পারেন।
(৫) যে সব জাতকের বিয়ে হয়েছে অনেক দিন হল, বাচ্চা হচ্ছে না, ডাক্তার বলেছে, বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা কম, এ সব ক্ষেত্রে চুণী বিশেষ ভাবে ধারণ করা যেতে পারে।
(৬) আমাদের সূক্ষ্ম শরীরের ছয়টা চক্র আছে। সবার ছ’টা চক্র সমান ভাবে খোলা থাকে না। এই সূক্ষ্ম শরীরে প্রথম যে চক্র (নীচে থেকে) আছে তার নাম মূলাধার। এই চক্র সে ভাবে খোলা না থাকলে জাগতিক সাফল্যে প্রচণ্ড বাধা আসে। কর্মে সাফল্য আসে না, ব্যবসায় বা অন্য ভাবে অর্থ উপার্জনে প্রবল বাধা আসে। সে ক্ষেত্রে সাইকিকরা অনেক সময় চুণী পরতে নির্দেশ দেন। কারণ অর্থ সক্রান্ত সমস্ত ব্যাপার মূলাধার থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। দীর্ঘকাল চুণী পরে থাকলে মূলাধার খুলে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy