আগামী ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার, সুখ-দুঃখ, শুভ-অশুভ প্রভৃতি নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে ১৪৩১ শেষ করে ১৪৩২ শুরু হতে চলেছে। পয়লা বৈশাখ বাঙালি হিন্দুদের কাছে একটি বিশেষ দিন।
দিনটির আধ্যাত্মিক গুরুত্ব তেমন না থাকলেও, শুরুর দিন হিসাবে নতুন বছরের প্রথম দিনের গুরুত্ব আছে। কোনও শুভ কাজ শুরুর আগে দেবতা এবং গুরুজনদের আশীর্বাদে সমৃদ্ধ হওয়া আমাদের রীতি বা সংস্কার। পয়লা বৈশাখে আমরা পুরনো বছরের সমস্ত খারাপকে পিছনে ফেলে রেখে নতুন বছরকে ভাল করে তোলার যাত্রা শুরু করি। নতুন বছরের পথ শুভ হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় দেবতা এবং গুরুজনদের আশীর্বাদে সমৃদ্ধ হতে আমরা বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা-আরাধনা এবং গুরুজনদের আশীর্বাদ কামনা করি। শাস্ত্রমতে যে কোনও কাজ শুরুর আগে গণেশ আরাধনা করলে কর্মে সিদ্ধি লাভ বা সফলতা প্রাপ্তি হয়। সঙ্গে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় হয় লক্ষ্মীলাভ।
আরও পড়ুন:
পয়লা বৈশাখ ব্যবসায়ীদের পুরনো বছরের বাণিজ্যিক লেনাদেনা সেরে নতুন করে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরুর দিন। সারা বছর ব্যবসায় সমৃদ্ধি, শ্রীবৃদ্ধি এবং লক্ষ্মী লাভের উদ্দেশ্যে বছরের প্রথম দিন সিদ্ধিদাতা গণেশ এবং মা লক্ষ্মীর পূজা করা হয় এবং নতুন খাতায় স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নতুন করে ব্যবসা শুরু করা হয়।
নতুন বছর শুভ হোক, জীবনে আসুক সুখ, সমৃদ্ধি এবং সফলতা। এই শুভ কামনা জানিয়ে দেখে নেওয়া যাক পয়লা বৈশাখে আরাধ্য দেব-দেবীর এবং লক্ষ্মী-গণেশের পূজা এবং গুরুজনদের কাছে আশীর্বাদ নেওয়ার শুভ সময়।
আরও পড়ুন:
পয়লা বৈশাখ— ১৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার।
দ্বিতীয়া তিথি— বেলা ১০টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত, তার পর শুরু হবে তৃতীয়া তিথি।
অমৃতযোগ— সকাল ৭টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত, পুনরায় ১২টা ৫৩ মিনিট থেকে বেলা ২টো ৩২ মিনিট, পুনরায় ৩টে ২৪ মিনিট থেকে ৫টা ৪ মিনিট পর্যন্ত।
বারবেলা— সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট থেকে ৮টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত, পুনরায় ১টা ১২ মিনিট থেকে ২টো ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।