Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪

পরপুরুষে বা পরনারীতে আসক্তি রোখার টিপস (দ্বিতীয় পর্ব)

প্রাচীন চিনা মতে রান্নাঘর স্ত্রী ভাবের আর শোবার ঘর পুরুষ ভাবের প্রতীক। ফেং শুই মতে, রান্নাঘরে আয়না লাগানো দুই স্ত্রী আর বেডরুমে আয়না লাগানো দুই স্বামীকে বোঝায়।

কৃষ্ণপ্রেম
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

(৫) ফেং শুই মতে বাথরুম ও শোবার ঘরে আয়নার অবস্থান ভীষণ স্পর্শকাতর। স্ত্রী বা স্বামীর মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া গেলে বাথরুম ও শোবার ঘর থেকে আয়না সরিয়ে পাশের কোনও ঘরে রাখতে হবে। এই আয়না ‘চি’ শক্তি, মানে প্রেম ভালবাসার শক্তিকে ঘরে ঢুকতে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে দুর্বল মনের স্বামী ও স্ত্রীরা খুব সহজেই পরকীয়া প্রেমে মত্ত হয়ে পড়েন। অলক্ষ্যেই সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটে থাকে।

প্রাচীন চিনা মতে রান্নাঘর স্ত্রী ভাবের আর শোবার ঘর পুরুষ ভাবের প্রতীক। ফেং শুই মতে, রান্নাঘরে আয়না লাগানো দুই স্ত্রী আর বেডরুমে আয়না লাগানো দুই স্বামীকে বোঝায়। ফেং শুই মতে আয়না সব কিছুকেই প্রবর্ধিত করে তোলে। খারাপ হলে বেশি খারাপ করে আর ভাল হলে আরও বেশি করে ভাল করে। তাই পথ্য হিসেবে শোবার ঘরে রান্নাঘরে আয়না টাঙাবেন না।

(৬) ঘরের মধ্যে ঘর থাকলে ফেং শুই মতে বাড়িতে তৃতীয় মানুষের আগমন ঘটবে চুপিসারে। ঘরের মধ্যে ঘর থাকলে বাড়িতে ‘শিচি’ শক্তি নেগেটিভ ভাইব উত্পন্ন করে। এই ভাইব স্বামী বা স্ত্রীকে পরকীয়ায় ইন্ধন যোগাবেই। ঘরের মধ্যে ঘর অবচেতন মনে এক ধরনের অপরাধ বোধ প্রশ্রয় দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: পরপুরুষে বা পরনারীতে আসক্তি রোখার টিপস প্রথম পর্ব

(৭) ফেং শুই মতে, যে ঘরে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করেন, সেখানে দুটো আলাদা বিছানা থাকা মানেই ‘শিচি’ বা অবৈধ প্রেমের শক্তিকে আহ্বান করা। তার মানে জোর করে তৃতীয় নারী বা পুরুষকে ঘরে থাকার জন্য বলা। দুটো বিছানা মানে অবচেতন মনে অবৈধ প্রেমকে প্রশ্রয় দেওয়া। তাই পথ্য হিসেবে স্বামী-স্ত্রীর শোবার ঘরে দ্বিতীয় বিছানাটাকে বাড়ির অন্যত্র সরিয়ে রাখতে হবে।

(৮) ফেং শুই মতে, বাথরুমে বড় বড় করে একাধিক জানলা থাকা মানে অবৈধ প্রেমকে হাতছানি দিয়ে ঘরে ডেকে আনা। পাশ্চাত্যে এই ধরনের জানলা দেখা যায়। এর ফলে অবৈধ প্রেমের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। বড় জানলা মানে ঘরের ভিতরের আব্রুকে বাইরের সামনে প্রকট করে তোলা। এতে প্রাইভেসি বলে কিছুই থাকেনা। পথ্য হিসেবে বাথরুম কী ভাবে আড়াল করতে হয় সেটা ভাল করে জানতে হবে।

(৯) শোবার ঘরে যেখানে বিছানা থাকে, তার সামনে যেন কোনও আয়না না থাকে। যাকে ‘মিরর রিফ্লেক্টিং বেড’ বলে। অনেকে এটা ইচ্ছা করে তৈরি করেন। ফেং শুই মতে এটা ভীষণ অশুভ। এই আয়না পরকীয়া প্রেমেকে জোর করে ঘরে প্রবেশে সাহায্য করে। একটা বিছানা মানে, যেখানে কাজের অবসরে স্বামী-স্ত্রী বেশির ভাগ সময় কাটান বিশ্রামের জন্য। ফেং শুই মতে বাড়ির প্রধান দরজা দিয়ে ‘চি’ শক্তি যখন প্রবেশ করে যখন শোবার ঘরে ঢোকে, তখন বিছানায় থাকা স্বামী বা স্ত্রীর মনে প্রেমের বা দাম্পত্য ভালবাসার পরশ লাগায়। এতে দাম্পত্য ভালবাসা জোরালো হয়। কিন্তু সেই শক্তি যখন দেখে বিছানার সামনে আয়না, সেই শক্তি আর অগ্রসর হতে পারে না। উল্টে ‘শিচি’ আত্মপ্রকাশ করে। তাই রেমেডি হিসেবে বিছানার সামনের ঝোলানো আয়নাটা সরিয়ে ফেলুন।

(১০) শোবার ঘরে বিছানা কখনই ছাদের সঙ্গে সংযুক্ত লোহা বা কংকিটের বিমের নীচে রাখা যাবে না। এতে দাম্পত্য প্রেমে চিড় ধরে এবং তৃতীয় মানূষের আগমন ঘটে।

অন্য বিষয়গুলি:

Adultery Feng Shui
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy