বাস্তবে রাহু-কেতুর নাম শুনলে আমরা সকলেই একটু আতঙ্কিত হই। কিন্তু বাস্তব সত্যি হল রাহু-কেতুকে ছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনে চলতে পারব না। তার কারণ সম্পর্কে জ্যোতিষশাস্ত্র কী বলছে দেখে নেওয়া যাক -
• রাহুর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, রাহু হল চণ্ডাল, নীচ। অর্থাৎ নিচু বা ছোট কাজ, যেমন মেথর, নাপিতের কাজ ইত্যাদি। মেথরের প্রধান কাজ শৌচালয় পরিষ্কার করা। এই কাজটি কিন্তু মেথর ছাড়া আমি আপনি করতে পারব না। এর জন্য অবশ্যই মেথরের প্রয়োজন। এখন যদি শৌচালয় পরিষ্কার করার জন্য মেথর না থাকত তাহলে সমাজে মহামারি দেখা দিত। একইভাবে অন্যদিকে নাপিত যদি না থাকত তাহলে আমরা চুল-দাড়ি কেটে সভ্য ভদ্র হতে পারতাম না।
• কেতু মানেই প্রথমে বহুল প্রচলিত যে কথাটি উঠে আসে তা হল গোপনীয়তা। অর্থাৎ কেতুকে ছাড়াও জীবনে চলা যায় না। কী ভাবে ? সব কথা সবাইকে বলা যায় না, অনেক কথা অনেকের কাছ থেকে গোপন করতে হয়। অন্যথায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
• আমরা যা খাই কেতু ছাড়া তা পরিপাক করা সম্ভব নয়, কারণ কেতু ক্ষুদ্রান্ত্রের কারক গ্রহ।
• যারা পবিত্র কোনও চর্চা করেন বা জ্যোতিষচর্চা করেন তাদের জন্য কেতু ছাড়া এসব ক্ষেত্রে উন্নতি সম্ভব না।
• পুলিশ, গোয়েন্দা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গোপনীয়তা একটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ। সেখানও কেতুর ভূমিকা অপরিসীম।
রাহু-কেতু আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। সুতরাং রাহু-কেতুকে অহেতুক ভয় পাবেন না। প্রাচীনকালে অর্থাৎ জ্যোতিষশাস্ত্র যখন আরম্ভ হয়েছিল তখন এদেরকে চণ্ডাল বলা হত, যুগ পরিবর্তন হলে এদের এখন আর চণ্ডাল বলা হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy