— প্রতীকী চিত্র।
পুজোর ক’টা দিন বাড়িতে রান্নাপাঠ বন্ধ। দুপুরে পাড়ার মণ্ডপে পুজোর ভোগ খেয়ে, রাতে পছন্দের রেস্তরাঁয় খাওয়ার পরিকল্পনা করাই থাকে। কিন্তু পেটরোগা বাঙালির পেটে তো এত অত্যাচার সহ্য হয় না। পুজো-পার্বণ ছাড়াও বাইরে খাওয়াদাওয়া তো চলতেই থাকে। অনিয়ম তো আছেই। যার জেরে এখন সাধারণ বাড়ির খাবার খেলেও প্রায় প্রতি দিনই হজমের ওষুধ খেতে হয়। তবে পুজোর সময়ে পেটের হাল ঠিক রাখতে একটার জায়গায় তো চারটে ওষুধ খাওয়া যাবে না। তা হলে কী করবেন? এখন থেকেই নিয়মিত তিনটি ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারলে এই ধরনের সমস্যা কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
বজ্রাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে বসুন। সামনের দিকে পা ছড়িয়ে দিন। এ বার একটি করে পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। গোড়ালি জোড়া করে রাখুন। শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। হাত দু’টো ঊরুর উপর টানটান করে রাখুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসুন। এই আসনটি শরীরে অতিরিক্ত মেদের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেটের তলদেশে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
পশ্চিমোত্তাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক ঊরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
বালাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। হাত দু’টি প্রণাম করার ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আর ছাড়ুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। প্রতি দিন এটা করলে গ্যাসের সমস্যা কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy