কোলেস্টেরল কমাতে খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়া খুব জরুরি। ছবি: ফ্রি পিক।
কোলেস্টেরল বাড়লে একগাদা ওষুধ খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা। বরং রোজের জীবনযাপনে কিছু অভ্যাস বদলালেই শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যাবে। বিশেষ করে রোজের খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়ার কথাই বলছেন পুষ্টিবিদেরা। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। তাতেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর কোলেস্টেরল বাড়লে তার থেকেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কাও থেকে বেড়ে যায়।
তাহলে জেনে নিন কী কী খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
১) আম— আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। অনেকেই ভাবেন আম খেলে ক্যালোরি বাড়বে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দিনে একটা আম খেলে উপকারই হবে। আমের অনেক পুষ্টিগুণ আছে যা কোলেস্টেরল কমায়, হার্ট ভাল রাখে। তবে ডায়াবিটিসের রোগীরা আম খেতে হলে কতটা খাবেন সেটা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেবেন।
২) কমলালেবু— কমলালেবুতে ফাইবার ও ভিটামিন ডি থাকে যা কোলেস্টেরলকে জব্দ করতে পারে। কমলালেবু কেবলই মরসুমের ফল নয়,কমলালেবুর এমন বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে যা আপনার শরীরকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে। শরীরে ফাইবারের চাহিদা মেটাতে কার্যকারী ভূমিকা নেয়।
৩) কলা— কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট ভাল থাকে। ফাইবার থাকার কারণে কলা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে পেট পরিষ্কার রাখে। কলা খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) হলুদ ক্যাপসিকাম— ক্যাপসিকামে থাকে ভিটামিন এ, যা চোখ ভাল রাখে। এর ভিটামিন ডি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৫) পিচ ফল— ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য পিচ ফল বেশ উপকারী। পিচে ভাল মাত্রায় ফাইবার রয়েছে যা হজমক্ষমতা বাড়ায়। পিচ ফল খেলে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে না।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোলেস্টেরল কমাতে ডায়েট কেমন হবে তা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy