ছবি: প্রতীকী
বয়স একই। তবু শরীরে নানা অঙ্গের ব্যথায় পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই বেশি জর্জরিত হচ্ছেন। বহু বছর ধরে চলা বিভিন্ন গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বার বার। চিকিৎসকেরা বলছেন, মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে এমন ফারাকের কারণ সম্ভবত হরমোন। অনেকেই মনে করেন, বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কেউ কেউ মনে করেন, এই ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস বা জিন অনেক অংশে দায়ী। তার উপর কম বয়সে হিল জুতো পরার অভ্যাস, শরীরচর্চা না করার ফলেও মহিলাদের হাড়ে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায় বেশি। তবে জীবনধারা কিছু পরিবর্তন আনলে এমন সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
১) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
একটা বয়সের পর মহিলাদের পেট, কোমরের অংশ ভারী হতে শুরু করে। পুরো দেহের চাপ পড়ে হাঁটু এবং কোমরের অস্থিসন্ধির উপর। যা থেকে পরবর্তীকালে বাতের সূত্রপাত হয়। তাই সব সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
২) শরীরচর্চা করতে হবে
শুধু হাড়ের স্বাস্থ্য নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। অস্থিসন্ধির যত্ন নিতে গেলে প্রতি দিন অন্তত পক্ষে আধঘণ্টা শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।
৩) অস্থিসন্ধির যত্ন নিতে হবে
হাঁটু বা কোমর ভেঙে বার বার ওঠাবসা, সিঁড়ি ভাঙার মতো কাজ করলে অস্থির ক্ষয় হয়। সেখানেই জাঁকিয়ে বসে বাতের ব্যথা। তাই সময় থাকতে অস্থিসন্ধির যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ ধরনের জুতো পরার অভ্যাস করতে হবে।
৪) পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন
সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। হাড়ের যত্নেও তার অন্যথা হবে না। নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। ঘুম কম হলে তার প্রভাব পড়বে হাড়ের উপর।
৫) ধূমপান ছাড়তে হবে
ধূমপান শুধু ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর নয়। ধূমপানের অভ্যাসে হাড়েরও ক্ষয় হয়। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে পারলে হাড়ও সুরক্ষিত থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy