(বাঁ দিকে) রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। (ডান দিকে) ইউভান। ছবি: সংগৃহীত।
পরিবারে নতুন সদস্য আসা সব সময়েই আনন্দের। তবে প্রথম বার মা হওয়ার সময়ে যতটা ভয় মনের মধ্যে কাজ করে, পরের বার অনেকটাই সহজ হয়ে যায় মাস কয়েকের এই যাত্রা। দ্বিতীয় বার মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর স্বামী, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেছেন সে কথা। ২০২০ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান ইউভানের জন্ম হয়। চিকিৎসকেরাও বলে থাকেন, প্রথম সন্তান জন্মের অন্তত বছর তিনেক পর দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। প্রথম বারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় বার মা হওয়ার সময়ে অনেক সমস্যাই সহজে কাটিয়ে ওঠা যায়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও দ্বিতীয় বার মা হওয়ার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
১) পরিমিত খাবার খেতে হবে
দ্বিতীয় বার মা হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম বারের চেয়ে ওজন বেড়ে যায় অনেক মহিলার। কারণ, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রথম বার যে সব শারীরিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, দ্বিতীয় বার তা না-ও হতে পারে। ফলে বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যায়। যা মা এবং গর্ভস্থ সন্তান দু’জনের জন্যই ক্ষতিকর।
২) প্রথম সন্তানকে প্রস্তুত করুন
দ্বিতীয় সন্তান আসার আগে প্রথম সন্তানকে মানসিক ভাবে তৈরি করাও কিন্তু অভিভাবকের দায়িত্ব। তার জায়গায় অন্য কেউ মা, বাবার কোল জুড়ে থাকবে, এমন আশঙ্কা যেন প্রথম সন্তানের মনে তৈরি না হয়। দ্বিতীয় সন্তান এলে তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা স্বাভাবিক। তাই প্রথম সন্তানকে নিজের কাজটুকু নিজে করার পাঠ দিন আগে থেকেই।
৩) হাসপাতাল নির্বাচন করে রাখুন
প্রথম সন্তান নির্দিষ্ট সময় মেনে এলেও দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে তেমনটা না-ও হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় সন্তান নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়। তাই আগে থেকে হাসপাতাল নির্বাচন করে, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে রাখাই ভাল।
৪) বেশি শরীরচর্চা করার প্রয়োজন নেই
প্রথম সন্তান হওয়ার পর মেদ ঝরাতে যত শরীরচর্চা করেছেন, দ্বিতীয় বার তা করার প্রয়োজন নেই। কারণ, দুই সন্তানকে বড় করতে এবং তাদের পিছনে দৌড়তে গিয়েই যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। তখনই অর্ধেক মেদ ঝরে যাবে।
৫) নতুন চিকিৎসকের সন্ধান করুন
প্রথম বার যে চিকিৎসকের হাতে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে তাঁর উপরেই ভরসা রাখতে হবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। যদি অন্য কোনও চিকিৎসকের সুখ্যাতি শোনেন, তাঁকে ভরসা করে দেখা যেতেই পারে। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন না। হাতে সময় নিয়ে, চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy