খেলা হোক বা ব্যায়াম, বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেক কিছু থেকে দূরে সরে যাওয়া যেন রীতি। ৪০ পার করলে অধিকাংশ খেলার ক্ষেত্রেই আর যোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এমন কেন হয়? বয়সের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক শরীরচর্চার?
বয়সের সঙ্গে একটি পরিবর্তন আসে। যে কোনও ব্যায়ামেই আগের থেকে অন্য ভাবে সাড়া দেয় শরীর। ফলে নিয়মিত ব্যায়াম করলেও তার প্রভাব অন্য ভাবেই পড়ে শরীরের উপর। খেলার জন্য যে কর্মক্ষমতা প্রয়োজন, তার অনেকটাই নিয়মিত শরীরচর্চা করে বাড়াতে হয়। কিন্তু কুড়িতে কোনও ব্যায়াম করলে যে ভাবে সাড়া দেয় শরীর, চল্লিশে তার প্রভাব অনেকটাই কমে যায় শরীরের উপর। ফলে খেলার সময়ে পেশীর যে জোর প্রয়োজন, তা ততটাও তৈরি হয় না।

পেশির নমনিয়তা কমতে থাকে বয়সের সঙ্গে
আরও পড়ুন:
কেন বয়সের সঙ্গে শরীরচর্চার প্রভাব আলাদা হয়?
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বয়সের সঙ্গে যে কোনও কাজেই পেশির সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে আগে এক ঘণ্টা শরীরচর্চা করলে যতটা কাজের শক্তি পেত পেশি, তা বয়স বাড়লে আর পায় না। সেই শক্তি সঞ্চয় করতে লেগে যায় আরও অনেকটা সময়। কখনও করতে হয় অন্য ধরনের ব্যায়াম।
বয়স বা়ড়লে তবে কি শরীরচর্চা বন্ধ করে দেওয়া উচিত?
তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং শরীরচর্চায় আরও বেশ জোর দেওয়া জরুরি। কারণ পেশির নমনিয়তা কমতে থাকে বয়সের সঙ্গে। নিজেকে সব কাজের জন্য তৈরি রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা।
তবে এ কথা মনে রাখতে হবে যে পেশির জোর কমছে। তাই আগের মতো অনেক কিছু না-ই পারতে পারেন। তাতে মন খারাপ না করে নতুন উপায় খোঁজা প্রয়োজন।