দুধ-চা খেলে গলা-বুক জ্বালা করে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের কথা ভেবে দুধ-চিনি ছাড়া চা খেতে হয়। মাঝেমধ্যে এক-আধটা দিন যে আদা-তেজপাতা-ছোট এলাচ দিয়ে ফোটানো ‘কাটিং’ চা খেতে ভাল লাগে না, তা নয়। তবে দুধ-চা খেলেই মুখের ভিতরটা কেমন যেন টক হয়ে যায়। কিছু ক্ষণ পর গলা-বুক জ্বালা করে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধ-চা খেয়েও অম্বল বা অ্যাসিডির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার জন্য কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
১) দুধ এবং চা পাতা একসঙ্গে অনেক ক্ষণ ধরে ফোটালে চায়ের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। তবে সমস্যা হল বেশি বার ফোটালে দুধের মধ্যে থাকা প্রোটিন, ল্যাক্টোজ় ভেঙে যায়। যে কারণে অ্যাসিডিটি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুধ না ফুটিয়ে লিকার চায়ের সঙ্গে পরে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
২) চা খেতে খেতে গল্পগুজব তো হবেই। তাই বলে দুধ-চা বেশি ক্ষণ রেখে খাওয়া যাবে না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধ-চা তৈরির করার মিনিট দশেকের মধ্যে তা খেয়ে নিলে অম্বলের সমস্যা হবে না।
৩) গল্প করতে করতে চা ঠান্ডা হয়ে গেলে অনেকেই আবার মাইক্রোঅয়েভে গরম করে নেন। এই অভ্যাসে কিন্তু অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
অম্বল গলা-বুক জ্বালার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়ের সঙ্গে কী কী খাওয়া যাবে না, তা-ও জেনে রাখা প্রয়োজন।
১) দুধ-চায়ের সঙ্গে শাকসব্জি না খাওয়াই ভাল। চায়ের মধ্যে রয়েছে ট্যানিন। এবং শাকপাতার মধ্যে এমন খনিজ রয়েছে যেগুলি ট্যানিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। ফলে পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
২) গরম চায়ের সঙ্গে ঠান্ডা ফ্রুট স্যালাডও খাওয়া উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। অনেকেই লেবু-চা খেতে পছন্দ করেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে তেমন চা না খাওয়াই ভাল।
৩) দুধ-চা এবং দুগ্ধজাত খাবার, যেমন— মিষ্টি, দই, পনির বা ইয়োগার্ট একসঙ্গে খাওয়া যাবে না। এই অভ্যাসেও অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy