ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্ব জুড়ে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কয়েকটি ক্যানসার রয়েছে, যেগুলির প্রকোপ ইদানীং খুব বাড়ছে। মুখের ক্যানসার তার মধ্যে অন্যতম। মূলত ধূমপানের অভ্যাস ডেকে আনে এই ক্যানসার। এ ছাড়াও গুটখা, খৈনি, পানমশলা খাওয়ার নিয়মিত অভ্যাসেও মুখে কর্কটরোগ দেখা দিতে পারে। সকলের ক্ষেত্রে ধূমপান বা নেশার দ্রব্যই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ, তা নয়।
প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যানসার সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে তোলা যায়। তবে কোনও বিকল্প চিকিৎসার ব্যবস্থা না নিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত অংশকে সমূলে বাদ দেওয়াই স্বীকৃত চিকিৎসা। নারীদের তুলনায় পুরুষরাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশ— মুখের এই সব অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি। মারণরোগ শরীরে বাসা বাঁধলে বাইরে তার কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। উপসর্গ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলে চিকিৎসা শুরু করতে সুবিধা হতে পারে।
১) মুখের ভেতরে কোনও ব্যথাহীন ফোলা অংশ আছে? তা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে কিংবা মুখের ভিতরে মাংসপিণ্ড জমাট বাঁধতে থাকে, তাহলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এটি ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
২) জিভ নাড়াতে অসুবিধে হওয়া কিংবা কথা বলার সময় সমস্যা হওয়াও কিন্তু মুখের ক্যানসারের লক্ষণ। এ ছাড়া হাঁ করতে অথবা মুখ খুলতে প্রবল ব্যথা হলেও অবহেলা না করে চিকিৎসককে সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
৩) ঠান্ডা লাগলে বা কোনও ভাইরাল জ্বর হলে গলায় ব্যথা হয়, ঢোক গিলতেও সমস্যা হয়। তবে সেই ব্যথা স্বল্প দিনের। যদি দেখেন দীর্ঘ দিন পরেও এই ব্যথা কমছে না তা হলে সতর্ক হতে হবে।
৪) মুখের মধ্যে কোনও সাদাটে বা লালচে ছোপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষত তিনি যদি তামাকে আসক্ত হন, লিউকোপ্লেকিয়া অর্থাৎ সাদাটে প্যাচ হল প্রাথমিক ক্যানসারের লক্ষণ।
৫) গালে বা গলায় কোনও ফোলা অংশ যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোনও ব্যথা-যন্ত্রণা নেই বললেই চলে— এমন উপসর্গ দেখলেও কিন্তু সতর্ক হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy