এক পাশের দাঁত দিয়ে খাবার চিবোনোর অভ্যাস রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডা-গরমে আক্কেল দাঁতের ব্যথা হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নুন-গরম জলে কুলকুচি করার পরেও শক্ত খাবার চিবোতে কষ্ট হচ্ছে। অগত্যা যে পাশটিতে ব্যথা, সে দিকটি এড়িয়ে অন্য দিকটি দিয়ে খেতে হচ্ছে। সাময়িক ভাবে কষ্ট কমলেও এই অভ্যাসে আদতে দাঁতের ক্ষতি হচ্ছে বলেই মনে করছেন দন্ত চিকিৎসকেরা। কিন্তু মুখের এক পাশ দিয়ে খাবার চিবিয়ে খেলে সমস্যা কোথায়?
দাঁতের চিকিৎসকেরা বলছেন, খাবার চিবোনোর সময়ে মুখের পুরোটাই ব্যবহার করা উচিত। সব ক’টি দাঁত দিয়ে ধীরে ধীরে খাবার চিবিয়ে গলাধঃকরণ করলে দাঁতের উপর খুব একটা চাপ পড়ে না। কিন্তু এক পাশে ব্যথা থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই অন্য পাশের উপর বেশি চাপ পড়ে যায়। ফলে দাঁতে ক্ষয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকে। যে দিকটি ব্যথার ভয়ে কম ব্যবহার করা হচ্ছে বা একেবারেই ব্যবহৃত হচ্ছে না, সেই অংশে খাবারের টুকরো জমতে শুরু করে। ব্যাক্টেরিয়ার উপদ্রবও বেড়ে যায়। তাতে মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া যে দিকটি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে সেই দিকের পেশির গঠনও বদলে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে মুখমণ্ডলের আকার, সৌন্দর্যে। শুধু তা-ই নয়, মুখের এক দিকে বেশি চাপ পড়লে প্রদাহজনিত সমস্যা কিন্তু সেখানেও দেখা দিতে পারে। অনেক সময়ে সেই যন্ত্রণা কান পর্যন্ত গড়াতে পারে। মুখ খুলতে-বন্ধ করতেও কষ্ট হতে পারে। তেমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মুখ এবং মুখগহ্বরের গঠন ভাল রাখতে কী কী মেনে চলা উচিত?
মাড়িতে বা দাঁতের গোড়ায় কিংবা দাঁতে যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
দাঁতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে অনেকেই নুন-গরম জল দিয়ে কুলকুচি করেন। অনেকে আবার লবঙ্গের তেলও ব্যবহার করেন। দু’টিই কাজ দেয়।
মুখের গঠর বা সৌন্দর্য ভাল রাখতে গেলে কোনও এক পাশের মাড়ি বা দাঁতের পাটির উপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া চলবে না।
খাওয়াদাওয়ার পর ভাল ভাবে মুখ ধুতে হবে। দিনে অন্তত দু’বার দাঁত মাজার অভ্যাস করতে পারলে ভাল হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy