শ্যাম্পু-তেল যতই মাখুন না কেন, চুলের পুষ্টির জন্য বায়োটিনের প্রয়োজন পড়বেই। চুলের গোড়া মজবুত করতে ও চুল পড়া বন্ধ করতে বায়োটিনই সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান। বায়োটিন হল একরকম ভিটামিন। একে বলা হয় ভিটামিন বি৭ যা ভিটামিন বি পরিবারের সদস্য। ভিটামিন এইচও বলা হয়। বিপাকে সাহায্য করে বায়োটিন। মূলত প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য উপাদান দেহে শোষণ করতে সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য এই ভিটামিন খুবই কার্যকরী। অনেকেই ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে বায়োটিন খান। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, রোজের ডায়েট থেকেই বায়োটিনের চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব। কোন কোন খাবার থেকে তা পাওয়া যাবে, জেনে রাখা ভাল।
দিনে কতটা বায়োটিন জরুরি?
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-এর তথ্য অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে ৩০ মাইক্রোগ্রাম করে বায়োটিন প্রয়োজন। শিশুদের ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৮ বছর অবধি দিনে ১২ মাইক্রোগ্রাম, ৯ থেকে ১৩ বছর অবধি দিনে ২০ মাইক্রোগ্রাম এবং ১৪ বছরের পর থেকে দিনে ২৫ মাইক্রোগ্রাম করে বায়োটিন জরুরি। গর্ভাবস্থায় দিনে ৩৫ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুন:
বায়োটিন পেতে কী কী খাবেন?
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন থাকে। পালং শাক খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
কাঠবাদাম, চিনেবাদাম, আখরোট, সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও তিসির মতো খাবার বায়োটিনে সমৃদ্ধ। প্রতি দিন একমুঠো বাদাম এবং বিভিন্ন বীজের মিশ্রণ খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়োটিন ঢুকবে।
যে সব মাছে তেলের পরিমাণ বেশি, সেই ধরনের মাছে বায়োটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। মাছের ওমেগা-তি ফ্যাটি অ্যাসিডও চুলের জন্য জরুরি। তবে শরীরে বায়োটিনের ঘাটতি হলে ওমেগা-৩ ঠিকমতো শোষিত হবে না।
দুধ, দই, চিজ়, পনির বা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারই বায়োটিনের উৎস।
মিষ্টি আলু, ডিমেও প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন থাকে। একটি গোটা ডিমে প্রায় ১০ মাইক্রোগ্রামের মতো বায়োটিন থাকে।
মাংসের লিভার, সি-ফুডেও বায়োটিন থাকে।