যে কোনও রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। প্রতীকী ছবি।
শীতকাল মানে সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা বেশি করে দেখা যায়। কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সাধারণ ‘ফ্লু’-এর আশঙ্কা কিন্তু রয়েই গিয়েছে। তাই এই মরসুমে সাবধানে থাকা জরুরি। ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে যাঁদের, শীতকালে বেশি সাবধানে থাকা প্রয়োজন। নয়তো বুকে কফ বা শ্লেষ্মা বসে যাওয়ার ভয় থাকে। তাতে সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সংক্রমণের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা নাকি বলে দিতে পারে কফের রং। তবে শ্লেষ্মা মাত্রেই ক্ষতিকর নয়। ফুসফুস, শ্বাসনালীর ভিতরের এলাকা আর্দ্র রাখে। যে কোনও রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। তবে কফের রং বদলে গেলেই মুশকিল। কফের রং-ই বলে দেবে আপনার শরীরের হাল।
অত্যধিক সাদা
থকথকে, একটু বেশি সাদা, ঘন শ্লেষ্মা হলে কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এর অর্থ হল আপনার নাকের কোষগুলি সংক্রমণজনিত কারণে ফুলে গিয়েছে। ফলে আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে শ্লেষ্মা আর বাইরে আসতে পারছে না। পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে শ্লেষ্মার প্রকৃতি এমন হচ্ছে। ব্রঙ্কাইটিস বা সাইনাসের কারণেও এমন হতে পারে।
গোলাপি
গোলাপি রঙের কফের অর্থ হল আপনার ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হয়েছে। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘ দিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে এক ধরনের তরল ফুসফুসে জমা হতে থাকে। তার জেরেই শ্লেষ্মার রং বদলে যায়। তাই এমন কিছু হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হলুদ
ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হলে সাধারত কফের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে সাধারণত এমন হয়ে থাকে। তাই কফের রং এমন হলে সমূহ সাবধান। দ্রত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাদামি
অতিরিক্ত ধূমপান করেন? সে ক্ষেত্রে কিন্তু কফের রং বাদামি হতে পারে। মূলত দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে ফুসফুসের পরিবর্তন হয়। ব্রঙ্কাইটিস হওয়ারও একটা আশঙ্কা থাকে। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কফ জমা হতে থাকে। কখনও কখনও কফের সঙ্গে রক্তও ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy