অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা নিয়ে ভোগেন অনেকেই। প্রতীকী ছবি।
মাসের কয়েকটি দিন অস্বস্তিতে কাটে মহিলাদের। পেটব্যথা, যন্ত্রণা, কোমরে ব্যথা, বমি বমি ভাব, এমন কয়েকটি ঋতুস্রাবকালীন সমস্যায় জর্জরিত হন মহিলারা। এ ছাড়া অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা তো রয়েছেই। এই সমস্যাগুলি তৈরি হয় বেশ কিছু কারণে। অপর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক উদ্বেগ, অত্যধিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, এই কারণগুলির জন্যই মূলত ঋতুস্রাবজনিত নানা অসুবিধা তৈরি হয়।
ঋতুস্রাব সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলি হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল ঋতুস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হওয়া। ঋতুচক্রের স্বাভাবিক চক্র হল ২৮ দিনের। তবে প্রতি মাসে এই রকম থাকে না। কখনও কখনও এই চক্র ২১ থেকে ৪৫ দিনেরও হয়। চিকিৎসকদের মতে, মাসিক ঋতুস্রাব পাঁচ দিন পর্যন্ত চলা স্বাভাবিক। অনেকেরই এমন হয়। তবে ৭ দিনের বেশি রক্তক্ষরণ চলতে থাকলে, তখন কিন্তু চিন্তার বিষয়। অনেক দিন ধরে ঋতুস্রাব হওয়ার সমস্যাকে বলে মেনোরেজিয়া।
দেশের ১৫–৪৪ বছর বয়সের মহিলাদের ১০০ জনের মধ্যে ১৬ জন মেনোরেজিয়া অর্থাৎ, অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের সমস্যায় কষ্ট পান।সাধারণত প্রতিটি ঋতুচক্রে গড়ে ৩০-৪০ মিলিলিটার রক্ত বেরোয়। কিন্তু যখন ৮০ মিলিলিটার বা তার থেকে বেশি রক্তপাত হয়, তখনই ভারী রক্তক্ষরণ-সহ অতিরিক্ত ঋতুস্রাব বা 'হেভি মেনস্ট্রুয়াল ব্লিডিং' বলা হয়।
এ ক্ষেত্রে ঋতুকালীন অবস্থা ৪ দিনের বেশি, আবার কখনও ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঋতুচক্র হয় ২৮ দিন পর এবং ৩-৫ দিন চলে। ৪৫ বছর বয়সের পর ঋতুস্রাবের মাত্রা কমে যায়। যদি ৫০ পেরিয়ে যাওয়ার পরে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়, তা কিন্তু মারাত্মক অসুখের লক্ষণ হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা ফেলে রাখা ঠিক নয়।
তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঋতু শুরুর সময়ে এবং ঋতুবন্ধের সময়ে ভারী ঋতুস্রাবের প্রবণতা বাড়ে। এ ছাড়া ইস্ট্রোজেন প্রোজেস্টেরন এবং থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের জন্যও ভারী ঋতুস্রাব বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy