কম বয়সে হাতের জোর কমে যাওয়া ডেকে আনে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা। প্রতীকী ছবি।
বার্ধক্য অনিবার্য। একটা সময়ের পর তা আসবেই। বয়স বাড়লে এমনিতেই নানা রোগবালাই বাসা বাঁধে শরীরে। কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে আসে। তখন অনেক রোগ সহজেই হানা দেয়। তবে আধুনিক ব্যস্ততম জীবনে নিয়মিত অনিয়ম অল্প বয়সেই ডেকে আনে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা। অনেক সময়ে বার্ধক্যের কিছু অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে কম বয়সেই। হালের সমীক্ষা বলছে, সেই লক্ষণগুলি এড়িয়ে গেলে ঝুঁকি বাড়বে মৃত্যুর। তেমনই একটি লক্ষণ হল, হাতের জোর কমে যাওয়া। বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যাটি খুবই সাধারণ এবং স্বাভাবিক। কিন্তু কম বয়সে তো এমন হওয়ার কথা নয়।
কম বয়সে হাতের জোর কমে যাওয়ার নেপথ্য কারণ হিসাবে অত্যধিক হারে ধূমপানকেই দায়ী করছেন। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে পেশি অনেক সময়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। পেশির যে নিজস্ব কর্মক্ষমতা, তা হারিয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। হাতের পেশির সংবেদনশীলতা বেশি। যে কোনও অনিয়মের অভিঘাত এই পেশিতে এসেই সবচেয়ে বেশি পড়ে। তাই হাতের জোর যদি কমে গিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
এ ছাড়াও হাতের জোর কমে যাওয়ার নেপথ্যে থাকতে পারে আরও কয়েকটি কারণ।
১) ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের অনেকের মধ্যেই পেরিফেরাল স্নায়ুরোগের প্রকোপ লক্ষ করা যায়। পেরিফেরাল স্নায়ুর সমস্যায় পায়ের পাতা এবং হাত ঘন ঘন অবশ হয়ে যায়।
২) হাতের শক্তি কমে যাওয়ার পিছনে থাকতে পারে স্নায়ুর রোগেও। স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে হাত, পা, ও শরীরের অন্যান্য অংশে তীব্র ব্যথা এবং জ্বালাও হতে পারে। সেই সঙ্গে হাতের কর্মক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়।
৩) মস্তিষ্কে যদি রক্ত সরবরাহ পর্যাপ্ত না হয়, সে ক্ষেত্রে স্ট্রোক হয়। বিশেষ করে রক্তনালি কোনও কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলে এমন হয়। স্ট্রোকের প্রথম লক্ষণ হল বাঁ হাত অবশ হয়ে যাওয়া। যা ক্রমশ হাতের তালু পর্যন্ত চলে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy