ছবি: সংগৃহীত।
জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া জীবজগতের কোনও কিছুর অস্তিত্ব থাকার কথা নয়। মানবদেহের জলের পরিমাণ ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। তবু সেই জলই কারও কারও ক্ষেত্রে প্রাণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা বছর ২৫-এর টেস্সা হানসেন-স্মিথের জীবনে জলের কোনও ভূমিকাই নেই। ৮ বছর বয়সে বিরল একটি অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসা পরিভাষায় যা অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকারিয়া নামে পরিচিত। সমাজমাধ্যমে তিনি নিজেই তাঁর জলবিহীন জীবনের কথা জানিয়েছেন।
অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকারিয়া কী? কেন হয় এই রোগ?
এই রোগ অত্যন্ত বিরল। জলের সংস্পর্শে এলেই ত্বকে বিশেষ ধরনের র্যাশ বেরোতে শুরু করে। লাল হয়ে ফুলে উঠতেও দেখা যায়। টেস্সা বলেন, “শাওয়ারে স্নান করার পর ত্বকে হঠাৎ ফোস্কার মতো কিছু হতে দেখেই আমার সন্দেহ হয়। মাথার ত্বক থেকেও রক্তপাত শুরু হয়।” প্রথমে বুঝতে না পেরে একাধিক সংস্থার শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সাবান ব্যবহার করেও দেখেছেন। কোনও লাভ হয়নি। আট বছর বয়সে প্রথমে এক দিন পুলে এবং এক দিন সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে হঠাৎ এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় টেস্সাকে। শুধু তা-ই নয়, জল খেলেই গলা, খাদ্যনালিতে জ্বালা করতে থাকে। জল পিপাসা পেলেও তা খাওয়ার উপায় থাকে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, খুঁজলে সারা বিশ্বে ১০০ থেকে ২৫০ জন বিরল এই রোগে আক্রান্ত হন। শুধু স্নান করলে নয়, বৃষ্টিতে ভিজলে, শরীরচর্চা করার সময়ে ঘামলে, এমনকি চোখ থেকে জল পড়লেও এই ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে।
জলের বদলে পানীয় হিসাবে কী খাওয়া যেতে পারে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, জলের বদলে দুধ খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিন, ফ্যাট বা শর্করা রয়েছে এমন তরল খেলে গলায় কোনও অসুবিধে হবে না। ত্বকে কোনও রকম র্যাশ বা অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy